ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে কাঁচামরিচ
কাঁচামরিচ! তরকারীর স্বাদ যেমন বাড়ায় তেমনি এর পুষ্টিগুণ নিয়েও বলে শেষ করা যাবে না। ধনী-গরীব, শহর-গ্রাম- এ এমন কেউ নেই যারা কাঁচা মরিচ চিনেন না।
কাঁচামরিচ যেহেতু ঝাল তাই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে কাঁচামরিচ খাওয়া যাবে কি যাবে না? কাঁচা মরিচ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। মরিচকে ঝাল বানায় এর বিশেষ উপাদান ক্যাপসাইকিন। কাঁচা মরিচের ঝালের কারণে অনেকেই একে কাঁচা খেতে সাহস পায় না।
আমাদের (পুষ্টিবিদ) অনেকে প্রশ্ন করেন কাঁচামরিচ কাঁচা খাওয়া ভাল নাকি রান্না করে খাওয়া ভাল? এর উত্তর হলো, কাঁচা মরিচ কাঁচা খাওয়া ভালো। ৩৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রার বেশি তাপমাত্রায় কাঁচা মরিচ সেদ্ধ করলে কিংবা ভেজে খেলে, তাতে থাকা বিদ্যমান ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়। তাই এর আসল উপকারিতা পেতে প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে কাঁচা মরিচ কাঁচা খেতে অভ্যাস করুন।
আপনি যদি প্রতিদিন একটি কাঁচা মরিচ খান, তাহলে আপেল খেতে হবে না। আর যাদের প্রতিদিন ভাতের সাথে একটি কাঁচা মরিচ না খেলে চলেই না তাদের জন্য সুখবর হচ্ছে কাঁচা মরিচ স্বাস্থ্যের জন্য অনেক কার্যকারী উপাদান। কাঁচা মরিচ সাধারণত কাঁচা, রান্না কিংবা বিভিন্ন ভাজিতে দিয়ে খাওয়া হয়। এতে আছে ভিটামিন এ, সি, বি-৬, আয়রন, পটাশিয়াম এবং খুবই সামান্য পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট।
ঝাল স্বাদের সব্জিগুলোতে থাকে বিটা ক্যারোটিন ও আলফা ক্যারোটিন, বিটা ক্রিপ্টোক্সানথিন ও লুটেইন জিয়াক্সানথিন ইত্যাদি উপাদান। এই উপাদানগুলো মুখে লালা আনে, ফলে খেতে মজা লাগে। এছাড়াও এগুলো ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আসুন জেনে নেই কাঁচা মরিচের স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো।
ক্যান্সার প্রতিরোধী
No comments