সারদা পুলিশ একাডেমীতে চাকুরি দেবার নামে প্রতারণা, আটক ৩
আব্দুল মতিন চারঘাট : রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমীতে চাকুরি দেবার নামে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার সময় তিনজনকে আটক করেছে চারঘাট মডেল থানা পুলিশ।সোমবার বিকাল ৪টার দিকে সারদা পুলিশ একাডেমী গেটের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।এ সময় তাদের কাছে থেকে ভূয়া পরিচয়পত্র ও নগদ প্রায় ২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, ফিরোজ হোসেন(২৬),সে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার আবুল হোসেনের ছেলে। বজলু প্রামানিকের ছেলে রিপন প্রামানিক(২৮) ও বকুল হোসেনের ছেলে শাহীন হোসেন(৩০)।তাদের দুজনের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলাতে।
ভুক্তভোগী বেল্লাল হোসেন জানান, তার বাড়ি রাজবাড়ি জেলার পাংশা উপজেলায়।সে তার এক ফুফাতে দুলাভাইয়ের মাধ্যমে প্রতারক রিপন ও শাহীনের সাথে পরিচত হয়।রিপন ও শাহীন নিজেদের সেনাবাহিনীর অফিসার হিসাবে পরিচয় দেয়।তারা ঢ়াকা ক্যান্টনমেন্টের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ভূয়া আইডি কার্ডও প্রদর্শন করে।এজন্য তিনি বিশ্বাস করে প্রথমে নগদ ৫০ হাজার টাকা তাদের হাতে তুলে দেন।
প্রতারকরা টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে বেল্লাল হোসেনকে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমীতে অফিস সহকারী পদে চাকরি দেবার নামে সর্বমোট ১২ লক্ষ টাকা দাবি করেন।চাকুরিতে যোগদানের সময় ২ লক্ষ টাকা ও বাকিটা বেতন হাতে আসার পর।এ সময় দুই প্রতারক ফিরোজ হোসেন নামে অন্য একজনের সাথে তার পরিচয় করিয়ে দেয়।ফিরোজ ফ্রেস পানীয় কোম্পানিতে চাকুরি করলেও নিজেকে সারদা পুলিশ একাডেমীর ইন্জিনিয়ার হিসাবে পরিচয় দেয়।
বেল্লাল হোসেন আরো বলেন,তিনি প্রতারকদের কথামত সাথে টাকা নিয়ে সোমবার(৮ জুলাই) সারদা পুলিশ একাডেমীতে চাকুরিতে যোগদান পত্র নিতে আসেন।এ সময় প্রতারকরা একটা ভূয়া যোগদান পত্র তাকে প্রদান করেন। যোগদান পত্রটি ভূয়া মনে হওয়ায় তিনি ফোন করে স্থানীয় থানা পুলিশকে বিষয়টা অবগত করেন।কিছুক্ষণ পরেই চারঘাট মডেল থানা পুলিশ এসে তাদের আটক করেন।
এ বিষয়ে চারঘাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,আটককৃত তিন প্রতারকের নামে মামলা দায়ের করে বিঙ্গ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।
No comments