চারঘাটে প্যারাসিটামল সিরাপের সংকট
আব্দুল মতিন,চারঘাট:
চারঘাটে কিছু দিন ধরে শিশুর জীবনরক্ষাকারী ওষুধ প্যারাসিটামল সিরাপ পাওয়া যাচ্ছে না। উপজেলার বিভিন্ন বাজারের কিছু কিছু ফার্মেসিতে মাঝে মধ্যে পাওয়া গেলেও চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই প্যারাসিটামল সিরাপ। স্কয়ার, বেক্সিমকো, অপসোনিন, এসকেএফ, ইনসেপটা, একমিসহ নামিদামি কোম্পানিগুলোর ওষুধ টাকা দিয়েও না পেয়ে ভোগান্তি আর বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন এলাকার মানুষ।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ‘র’ ম্যাটেরিয়াল স্বল্পতার অজুহাতে ওষুধ সরবরাহ দিচ্ছে না বিভিন্ন কোম্পানি। প্যারাসিটামল সিরাপসহ বিভিন্ন ওষুধের গুণগতমান নিয়ে সরকারি-বেসরকারিভাবে প্রশ্ন ওঠায় এবং গুণগতমান সঠিক আছে কি-না তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করার একপর্যায়ে ওষুধের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
চারঘাট উপজেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি মাহাবুব ইসলাম মোহন বলেন, রাজশাহী ডিপোতে প্যরাসিটামলের স্টক না থাকায় চাহিদামতো ওষুধ পাচ্ছি না। প্যারাসিটামল সিরাপ কম সাপ্লাইয়ের কারণে বিভিন্ন সমস্যা ফেস করতে হচ্ছে।
স্থানীয় কাঁকড়ামাড়ী বাজারে ওষুধ কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, ওষুধ কোম্পানিগুলো মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে। টাকা দিয়েও জ্বরের সিরাপ পাচ্ছি না। বিভিন্ন ফার্মেসিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্যারাসিটামলসহ ২০ হাজার টাকার ওষুধের অর্ডার দিলে মাত্র ২-৩ হাজার টাকার ওষুধ পাচ্ছেন তারা।
অনেক সময় মূল্যবৃদ্ধির জন্য কোম্পানিগুলো একত্রে সাপ্লাই বন্ধ করে মার্কেটে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। এর আগেও রাবিপ্রাজল গ্রুপের গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ও উচ্চরক্তচাপজনিত রোগের ওষুধের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ভুক্তভোগীরা।
No comments