Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    বড়াল রেলব্রিজ সংস্কারের চেষ্টা, পরিদর্শনে ইউএনও


    আব্দুল হামিদ মিঞা বাঘা প্রতিনিধি :
    রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী বড়াল নদীর উপর নির্মিত রেল ব্রিজের নড়বড়ে স্লিপার আটকাতে কাঠের গুজ এবং বাঁশের বাতা ব্যবহারের সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়েছে রেল কর্তৃপক্ষের। রোববার সকালে পত্রিকা দেখার পর-পরই সেখানে চলে আসে অসঙ্খ শ্রমিক। তারা দ্রুত বাঁশের বাতা এবং কাঠের গুজ সরিয়ে ফেলেছে।
    তবে এখন পর্যন্ত সরানো হয়নি কাঠের নষ্ট স্লিপার। দুপুরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সরেজমিন ব্রিজ পরিদর্শন করেছেন বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা ও আড়ানী ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক রফিকুল ইসলাম।
    স্থানীয় লোকজন জানান, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী বড়াল নদীর উপর নির্মিত রেলওয়ের ব্রিজের স্লিপারগুলো একেবারে নড়বড়ে। ব্যস্ত এ রেল ব্রিজের উপর দিয়ে দিনে অনেক ট্রেন যাতাযাত করে। এমন অবস্থায় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটার চরম আশঙ্কা থাকে। কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নেননি তেমন উদ্যোগ। সম্প্রতি দুর্ঘটনা ঠেকাতে রেল কর্তৃপক্ষ দায়সারা ভাবে স্লিপার গুলোকে ঠেকাতে কাঠের গুজ এবং বাঁশের বাতা ব্যবহার করে।
    এ নিয়ে রোববার সকালে রাজশাহী থেকে প্রকাশিত রাজশাহী দর্পদ ২৪.কম অনলাইন পত্রিকায় ব্রিজের ছবিসহ সংবাদ প্রকাশিত হয়। ফলে সকাল ৯ টার দিকে দ্রুত ছুটে আসে রেলের ডজন খানেক শ্রমিক। তারা ব্রিজের স্লিপারের উপর লাগানো বাঁশের বাতা এবং কাঠের গুজ তাৎক্ষণিক সরিয়ে ফেলে এবং কিছু-কিছু স্থানে নতুন করে লোহার নাট এবং গুজ লাগিয়ে দেয়।
    এদিকে রেল ব্রিজের বেহাল দশার খবর পড়ে ব্রিজ পরিদর্শনের জন্য বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন রাজশাহীর নবাগত জেলা প্রশাসক হামিদুল হক। খবর পেয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা দুপুরে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে সাথে করে ব্রিজ পরিদর্শন করেন। সেখানে প্রতিবেদককে ডেকে নেয়া হয়।
    নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, ব্রিজটির স্লিপারে লাগানো বাঁশের বাতা তুলে ফেলা হলেও শত-শত কাঠের স্লিপারের মধ্যে প্রায় ৩০-৪০ টি স্লিপার একেবারে অকেজো। সেইসাথে পশ্চিম সাইড থেকে তিন নম্বর প্লিলারের নিচের পাথর সরে মাটি বের হওয়ায় পিলারটি অনেকটায় ঝুকি বহন করছে। তিনি এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরে প্রতিবেদন পাঠাবেন বলে জানান।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728