Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    বাঘায় ঠিকাদারের মাটির স্তুপে ঢাকা পড়েছে মনমোহন প্রাথমিক বিদ্যালয়



     বাঘা(রাজশাহী) প্রতিনিধি
    বিদ্যালয়টির মোট জমির পরিমান আটত্রিশ শতাংশ। শ্রেণীকক্ষ বাদ দিয়ে অবশিষ্ট ফাঁকা জমিটি শিক্ষার্থীর খেলা-ধুলার জন্য খুবই সামান্য। দুই দশজন শিক্ষার্থীর খেলা-ধূলা চলে সামান্য জায়গায়।   সেটিও ঢাকা পড়েছে ঠিকাদারের মাটির স্তুপে। বিদ্যালয়টির শ্রেণী কক্ষের সামনে দীর্ঘদিন ধরে মাটি ফেলে রাখা হয়েছে। এর ফলে  দৈনন্দিন সমাবেশ হয়না। তবে জাতীয় সঙ্গীতসহ অন্যান্য কাজ কর্ম করতে হয় শ্রেণী কক্ষের ভেতরে। বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ঘেষে গর্ত করায় আগের ভবনটিও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। রাজশাহীর বাঘা উপজেলা সদরে মুর্শিদপুর গ্রামে অবস্থিত মনমোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র এটি।



     স্থানীয়রা জানায়, গত দুইমাস ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে   মাটি কেটে গর্ত করে রাখা হয়েছে। কোমলমতি শিশুরা গর্তে পড়ে দৈহিক ক্ষতির সন্মুখিন হতে পারে। এছাড়াও ঠিকাদারের নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখায় স্বাভাবিক পাঠদান হয়নি। এ বিষয়ে অভিযোগ করলেও তা আমলে নেননি ঠিকাদার।
     বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোলাইমান হোসেন জানান, দুইমাস আগে একতলা বিশিষ্ট বিদ্যালয়টি পুর্ননির্মাণের জন্য ৪তলা ফাউন্ডেশনের ভিত্তি প্রস্তরের মাটি কেটে ফেলে রাখা হয়েছে। বিদ্যালয়ের মাঠে স্তুপ করে রাখা হয়েছে বালুসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী। রমজানের ছুটিতে বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। এর মাঝে কাজ করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হলেও তিনি তা আমলে নেননি।
    উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবিএম সানোয়ার হোসেন  সার্বিক বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,কাজটি দ্রুত করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। কিন্তু মাটি পরীক্ষার অজুহাতে কালক্ষেপন করছে।
    এ বিষয়ে ঠিকাদার গোলাম মোস্তফা খান মন্টু বলেন, আশপাশে কোনো খালি জায়গা না থাকায় বিদ্যালয়ের সামনের মাঠটি ব্যবহার করতে হয়েছে। চেয়েছিলাম বন্ধের মধ্যেই কাজটি শেষ করবো, কিন্তু শ্রমিক সংকট ছাড়াও মাটি পরীক্ষার কারণে বিলম্ব হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু করবেন বলে জানান ঠিকাদার।
    স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী  রতন ফৌজদার জানান, ভবনটির নির্মাণ কাজটি করছেন ঠিকাদার গোলাম মোস্তফা খান মন্টু। উপজেলায় যোগাদানের পর বিদ্যালয়ের সামনের অবস্থা দেখে খারাপ লেগেছে। ঠিকাদারকে বলে বারান্দার সামনে টিন দিয়ে ঘিরে কাজ করতে বলবো। কাজটি ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন রেজা বলেন, বিষয়টি জানার পর প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছি।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728