Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    বাঘা পৌরসভায় সামান্য বৃষ্টিতে ডুবে যায় সড়ক!কাজের আসছেনা কোটি টাকার ড্রেন!



    আব্দুল হামিদ মিঞা ,বাঘা
    গত বর্ষায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানরা এক বছর সময় চেয়ে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।  সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্প। গত অর্থ বছরে খরচ হয়েছে ১কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে সামান্য বৃষ্টিতে পৌর শহরের চিহ্নিত এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। আর জলাবদ্ধতায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রথম শ্রেণীর পৌর সভার নাগরিককে। পৌর শহরের প্রধান সড়ক থেকে অলিগলির প্রায় জায়গায় পানি জমে যায়। আষাঢ়ের বৃষ্টি অনেকটাই অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে পৌরবাসীর কাছে । বৃহসপতিবার (১১-৭-১৯) রাত সাড়ে ৭টায় শুরু হয় বৃষ্টি। প্রায় পৌণে ১ ঘন্টার বৃষ্টিতে রাস্তাসহ উপজেলা পরিষদ চত্বর,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি জমে থাকতে দেখা যায়। বিশেষ করে শাহদৌলা সরকারি কলেজ মার্কেটের সামনে ছিল থৈ থৈ পানি। বৃষ্টির পানি আর কাদার কারণে রাস্তায় গাড়ির চাকা ঘোরানোই ছিল চ্যালেঞ্জ।
    স্থানীয়রা বলছেন ড্রেন নির্মাণে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে, সেই পরিমাণ সুফল মেলেনি। অপরিকল্পিত ড্রেন নির্শাণের কারণে বৃষ্টির পানি ড্রেনে নামতে পারছেনা। ইতোপূর্বে আগের ড্রেনগুলো পরিস্কারের জন্য অর্থ ব্যয় করা হয়েছে একাধিকবার। সেই ড্রেন পরিস্কারের নামে অর্থ ব্যয় করা হলেও তেমন কোন কাজ হয়নি।  নতুন করে ব্যাপক অর্থ খরচ করা হলেও পুরো নেটওয়ার্কিং না হওয়ায় সুফল মিলছে না। এর পরও  জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। কারণ  পরিকল্পনা আর ডিজাইনে ত্রুটি রয়েছে।

     ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সুরুজ্জামান বলেন, প্রায় দুই বছর হতে চললো দ্বিতীয় শ্রেণীর পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণীত উন্নীত করা হয়েছে। আর প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার দাবিতে মানবন্ধনও করা হয়েছে। ক্ষোভের সাথে এই ছাত্র নেতা বলেন,এখন যে অবস্থা তাতে তৃতীয় শ্রেণীর জন্য উল্টো মানববন্ধন করা লাগবে। পৌর শহরের বাসিন্দা সাজেদুল ইসলাম জানান,গত বছরের বর্ষা মৌসুমে বাঘা পৌরবাসী জলাবদ্ধতার কাছে সবচেয়ে বেশি মাত্রায় জিম্মি হয়ে পড়েছিল। বৃষ্টির ফলে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় দোকান, বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ে। সড়কের মাঝে সৃষ্টি হওয়া বড় গর্তে বাঁশ গেড়ে সতর্ক চিহ্ন দিতে হয়েছে। এবার ড্রেন নির্মান করার পরেও আগের অবস্থায় রয়ে গেছে।
    ব্যবসায়ী মোত্তালেব হোসেন জানান, সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় জমে থাকা নোংরা পানি দোকানে ঢুকে পড়ে। এতে দোকানের আসবাবপত্রসহ মালামাল নষ্ট হচ্ছে। এগুলো পরিষ্কার করার জন্য আলাদা শ্রম ও অর্থ ব্যয় হচ্ছে।
    পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, তদারকি থেকে ত্রুটি ধরা পড়ার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই মতে কাজ হয়নি। পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কাজগুলো আমি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগের প্রকল্প।


    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728