টাকা নয়, পিয়াজ ভিক্ষা চাচ্ছেন চারঘাট - বাঘার ভিক্ষুকরা
আব্দুল মতিন, চারঘাট
নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের দিন দিন বেড়েই চলছে। অনেক পণ্যই মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এর মধ্যে অন্যতম পিয়াজ। বেড়েই চলছে এর দাম। গত দু'দিনের ব্যবধানে ১৪০ টাকার পিয়াজ এখন ২১০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, শুক্রবার দুপুরে রুস্তমপুর ও আড়ানী পাইকারি বাজার মূল্য ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে পিয়াজ বিক্রি করছেন। খুচরা বাজারে ২১০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পিয়াজের কেজি। এ অবস্থায় বাজারে দেখা গেছে দু'জন ভিক্ষুক টাকা চাইছেন না, টাকার পরিবর্তে পিয়াজ ভিক্ষা চাইছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, রুস্তমপুর বাজারে অধিকাংশ দোকানে পিয়াজ নেই। দু-একটি দোকানে অল্প পরিমাণে দেশি পিয়াজ থাকলেও ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় নিম্ন আয়ের কেউ কেউ পিয়াজ না কিনে ফিরে গেছেন। আবার কেউ কেউ ২৫০ গ্রাম পিয়াজ ৪০ টাকা দিয়ে কিনেছেন।
এক পিয়াজ ক্রেতা বলেন, কাল পিয়াজের কেজি ছিল ১৪০ টাকা। আজ ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে পিয়াজ। ৬০ টাকা দিয়ে ২৫০ গ্রাম পিয়াজ কিনেছি। তরকারিতে পিয়াজ খাওয়া কমিয়ে দিয়েছি আমরা।
পিয়াজের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন আমার ৮-১০ বস্তা পেঁয়াজ লাগে। কিন্তু এখন মাত্র ২-৩ বস্তা পেঁয়াজ আমদানি করি। বাহির থেকে যেসব পেঁয়াজ গুলো আসে তা আমার থেকেও বড় ব্যবসায়ীদের কাছে শেষ হয়ে যায়।
পাইকারি ও খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা শরিফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলা অবস্থায় দুই নারী ভিক্ষুক এসে বলেন, ‘আল্লারস্তে দুইডা পেঁয়াজ ভিক্কা দেনগো বাবা।’
এ সময় তিনি দুই ভিক্ষুককে দুই টাকা করে দিতে চাইলে তারা টাকার বদলে পিয়াজ চান। পরে একটি করে পিয়াজ দিয়ে তাদের বিদায় করেন খুচরা পিয়াজ বিক্রেতা মফিজ উদ্দিন
এ বিষয়ে আরো জানতে চাইলে ক্রেতা ও বিক্রেতারা বলেন, আমাদের এত কিছু জিজ্ঞাসা না করে যারা পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছে তাদের জিজ্ঞাসা করেন পিয়াজের এত দাম বাড়ানোর কারণ কি আমরা দিনমজুর সারাদিন পরিশ্রম করে এক কেজি পেঁয়াজ কিনার টাকা রোজগার করতে পারিনা ।
No comments