চারঘাটে মাইকিং করে ‘কম’ দামে চাল বিক্রি
আব্দুল মতিন, চারঘাট:
রাজশাহীর চারঘাটে বিভিন্ন অটো রাইস মিলের ৫০ কেজি বস্তার চাল মাইকিং করে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিবস্তা চালের দাম রাখা হচ্ছে এক হাজার ৩০০ টাকা। অল্প দামে বাড়ির ওপর ট্রাকে চাল পাওয়ায় ক্রেতারা ভিড় করেছেন।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে দেখা যায়, উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের নন্দনগাছীতে একটি মিনি ট্রাকে মাইকিং করে এ চাল বিক্রি করছেন ভ্রাম্যমান চাল ব্যবসায়ীরা।তাদের কাছে রয়েছে মিনিকেট,আটাশ,গুটি স্বর্ণা চাল।সাধারন মানুষ ভিড় করে চাল কিনছেন।
ক্রেতা আব্দুল লতিফ বলেন, দাম কম ও বাড়ির ওপর পাওয়াতে দুই বস্তা চাল কিনেছি। এর আগে কখনও কিনিনি। বিক্রেতারা বলছে ভাত ভালো হবে। রান্না করার পর সেটি বুঝতে পারবো। তবে গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য এ দামের চাল বেশ ভালো। তাছাড়া বাজারে গিয়ে আনা-নেয়ার খরচ ও সময় বেঁচে যাচ্ছে।
আরেকজন ক্রেতা আফোরাজা বানু জানান,মিনি ট্রাকে কিংবা ট্রলিতে করে প্রায়ই চাল বিক্রি করতে আসে।তার স্বামী ঢ়াকায় চাকরি করে।বাজারে গিয়ে চাল কেনা ঝামেলা মনে হয়।ভ্রাম্যমান চাল বিক্রেতাদের কাছে থেকে চাল কেনাই বেশি সুবিধা।দামও কম আবার চালও মোটামুটি ভাল পাওয়া যায়।
মিনি ট্রাকের চাল বিক্রেতা রুবেল ইসলাম জানান,তারা নগদ টাকা দিয়ে কম দামে নওগাঁ ও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন মিল থেকে চাল সংগ্রহ করেন। মিনি ট্রাকে করে ৫০ কেজির চালের বস্তা এক হাজার ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি করছেন। গ্রামে আসলে মুহূর্তের মধ্যে চাল বিক্রি হয়ে যায়। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ১০ বস্তা চাল বিক্রি করেছেন। মিলের ভালো চাল থেকে কয়েকস্তরের বাছাই শেষে এ চাল বস্তাজাত করে তারা বিক্রি করেন। এ চাল নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। ভাতও ভালো হয়, দামও কম। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে।
চাল বিক্রেতা পুঠিমারি গ্রামের বাদশা আলী জানান,চারঘাট ও বাঘা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ছোট মিনি ট্রাকে মাইকিং করে চাল বিক্রি করেন তারা। ৪০ বস্তা চাল নিয়ে আসেন, যা সকাল ১১টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। এতে মিনিকেট, আটাশ, স্বর্ণাসহ বিভিন্ন ধরনের সাদা ও লাল বাছাই করা চাল থাকে। দাম কম হওয়ায় মধ্যবিত্তসহ গরিব শ্রেণির মানুষ এ চাল কেনেন। তবে চাল দেখতে লাল মনে হলেও ভাত অনেক ভালো হয়।
No comments