Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    চারঘাটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্মুখে বালুর ব্যবসা



    আব্দুল মতিন, চারঘাট:
    রাজশাহীর চারঘাটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাজার এলাকায় উন্মুক্ত ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে বালুর ব্যবসা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক শত কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ ঐ বাজারের দোকানদার ও এলাকাবাসী।
    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার কাঁকড়ামারী বাজারের দক্ষিণ দিকে মেরামতপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাথে বিস্তির্ণ ভাবে চলছে বালু ব্যবসা।প্রতিষ্ঠানের সামনেই বিশাল স্তুপ করে রাখা হয়েছে বালু।যা বিদ্যালয়টিকে আড়াল করে ফেলেছে। দক্ষিন পূর্বমুখী মেরামতপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করছে বাতাসের সাথে সেই স্তুপ করা বালু। এতে করে চরম স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়েছেন স্কুলের উপস্থিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। একেবারে প্রধান সড়কের পাশে বালু ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় ঘটছে দূর্ঘটনা।
    আশেপাশে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভোগান্তির কারণে স্কুলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতিও কম হয়। এতে করে বিঘ্নিত হচ্ছে স্কুলের পাঠদান। অপর দিকে বাজারে যাতায়াত কারী লোকজন একই সমস্যার ভুক্তভোগী।
    মোস্তাফিজুর রহমানসহ একাধিক ব্যাক্তি আক্ষেপ করে বলেন, আমরা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা। তবুও এ বালু ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি। একাধিক বার আমরা মৌখিক ভাবে তাদের বলেছিলাম স্কুল ও বাজারের সামনে এধরণের ব্যবসার করার কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরাসহ আমরা স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছি। এতে কোন কাজ তো হয়নি।
    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রীর বাবা জানান,স্কুলের সামনে বালু রাখার কারনে স্কুলের পরিবেশ একেবারে খারাপ হয়ে গেছে। মেয়ে স্কুলে যেতে চায়না। একটু বাতাস হলেই নাকি বালি উড়ে স্কুলের ভেতরে চলে যায়।
    এ বিষয়ে বালু ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমি জমি লিজ নিয়ে বালু ব্যবসা করছি এতে করে কারও সমস্যার হওয়ার কথা নয়।আমি কিছুদিনের জন্য এখানে বালু জমা করেছি। কয়েকদিনের মধ্যেই বালু সরিয়ে ফেলা হবে।
    কাঁকড়ামারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেন্দার আলী বলেন,বালু রাখার কারনে শিক্ষার্থীদের সমস্যা তো হয়,কিন্তু কিছু বলার নেই।কারন বালু স্তুপ করে রাখা জমিটা তো স্কুলের না।
    বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম জানান,বালু রাখার কারনে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এটা মেয়েদের স্কুল,সেজন্য সমস্যাটা আরো বেশি।স্কুলের সামনে বালু ব্যবসা করার মত জায়গা এটা না। বিষয়টা আমি অবগত আছি। আমি বালু ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে সমস্যাটা সমাধানের চেষ্টা করবো।
    এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জয়নাল আবেদীন বলেন, আমি বিষয়টি জানতাম না। তবে অভিযোগ পেলে বিষয়টি অতি গুরুত্বের সাথে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728