দেশের গান গেয়ে রাজশাহী কলেজে প্রথম স্থান অর্জন করেছে বাঘার আশিক
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
দেশাত্মবোধক গান গেয়ে ও শুনে দেশের প্রতি ভালোবাসা জন্মাতে থাকে ছোট বেলা থেকেই । দেশ, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ব্যাপারগুলো যে কী, তা অনেকে বুঝতে শুরু করেন দেশের গান শুনে। বিজয়ের এই মাসে এ প্রজন্মের সংগীত শিল্পী হাফেজ আশিক আহমেদ দেশের গান গেয়ে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ’২০১৯ প্রতিযোগিতায় আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন, রাজশাহী কলেজের আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র হাফেজ আশিক আহমেদ। সে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মর্শিদপুৃর গ্রামের বাসিন্দা, কলেজ শিক্ষক আলহাজ্ব জিন্নাত আলী ও জরিনা বেগমের ছেলে। বাঘা উপজেলার আব্দুল হামিদ দানিশ মন্দ (রহঃ) ফাজিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল (এসএসসি) ও ঢাকার মিরপুরের মোহাম্মদাবাদ ইসলামী আলিম মাদ্রাসা থেকে আলিম (এইচএসসি) পাশ করে রাজশাহী কলেজে ভর্তি হন।
মঙ্গলবার (১০-১২-১৯) শ্রেষ্ঠ সংগীত শিল্পী হিসেবে সন্মাননা সনদ প্রদান করা হয়। রাজশাহী কলেজ,রাজশাহীর আয়োজেনে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ’২০১৯ প্রতিযোগিতা শেষে রাজশাহী কলেজ এর কলা ভবনে ২০২ নম্বর কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে সন্মাননা সনদ প্রদান করেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মহাঃ হবিবুর রহমান,বিশেষ অতিথি উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ আঃ খালেক,সাহিত্য ও সাংস্কৃকি কমিটির আহŸায়ক প্রফেসর ড.মোঃ ইব্রাহিম আলী ও অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রফেসর মোঃ নূরল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অনার্স-মাষ্টারস শিক্ষার্থী।
আশিক আহমেদ জানান, আমি যখন দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র, তখন প্রথম শিখেছি ‘একতারা তুই দেশের কথা’। তখন না বুঝলেও দেশের গান গাইতে কেমন যেন আলাদা ভালো লাগা কাজ করত। সেই সময় ইসলামী সংগীতের পাশাপাশি দেশের গানই বেশি গাইতাম। সত্যি কথা কি, ওস্তাদ ছাড়াই গান শিখেছিলাম। সেমিনার,তাফসিরুল কোরআন মাহফিলসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেছি। রাজশাহী কলেজে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ’২০১৯ প্রতিযোগিতায় ইসলামী সংগীত পরিবেশন করে দ্বিতীয় হয়েছি। ২০১৪-১৫ সালে ইসলামী ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করে জেলা পর্যায়ে দ্বিতীয় হয়েছি। এ পর্যন্ত যতগুলো মৌলিক গান আমি গেয়েছি, তার মধ্যে দেশের গানই বেশি। ইসলামী গানের পাশাপাশি দেশের গান আমাকে ভাবায়, তাড়িত করে। মঞ্চে গাইতে খুব মধুর লাগে।
No comments