বাঘায় চুরির ভয়ে রাতে পেঁয়াজ-রসুনের ক্ষেত পাহারা
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি ঃ
দামের কারণে কদর বেড়েছে পেঁয়াজের। পাশাপশি রয়েছে রসুন ক্ষেত। তাই দিনের বেলায় হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রমের পর রাতেও পেঁয়াজের ক্ষেতে রাত কাটাচ্ছেন কৃষকরা। দিনের বেলায় পেঁয়াজ ও রসুনের ক্ষেত পরিচর্যা শেষে সন্ধার পর টর্চ লাইট নিয়ে মাঠে নামছেন কৃষকরা। রাতভর পাহারা দিয়ে বাড়ি ফিরছেন ভোরে। চুরির ভয়ে পালাক্রমে রাতভর পেয়াঁজ ও রসুন ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন বাঘা উপজেলার পদ্মার চরের কৃষকরা।
সরেজমিন পদ্মার চরে খোঁজ খবর নিতে গিয়ে দেখা মেলে খাঁয়েরহাট গ্রামের আব্দুল জলিল সাথে। কুয়াশা ঠেকাতে মাথার উপর ছাউনির নীচে ভাতিজা সোহেল রানাকে নিয়ে শীতের চাদর মাফলার গায়ে টর্চ লাইট নিয়ে বসে আছেন তিনি। আব্দুল জলিল বলেন, এবছর আড়াই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। চড়া দামের কারণে পেঁয়াজ চুরি ভয় বেশি। তাই পাহারা দিতে হচ্ছে। তবে বিগত বছর এভাবে পেঁয়াজের ক্ষেত পাহারা দিতে হয়নি। চরের ৭ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করছেন সরেরহাট পালপাড়া গ্রামের দুলাল হোসেন। তিনি বলেন, কোন পোঁয়াজ আবাদীর চোখে ঘুম নাই। রাত ও দিনের বেলাও মাঠে কাউকে না কাউকে থাকতে হচ্ছে। ফলন কম হলেও চুরির ভয়ে আর বেশি দামের আশায় অনেকেই পেঁয়াজ তুলতে শুরু করেছেন। আরেক কৃষক মশিদপুর গ্রামের আসলাম আলী জানান,প্রতি বিঘা জমিতে ৩৫-৪০ মন পেঁয়াজ হচ্ছে, যা পূর্ণ মৌসুমের তুলনায় অনেক কম।
খুচরা বিক্রেতা মতলেব আলী জানান, বাজারে চরের নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। আগের তুলনায় দামও অনেক কমে গেছে। বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ১৬০ টাকা দরে। রসুন বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে। খুচরা বিক্রেতারা জানান,দিনের পর দিন দাম কমে যাওয়ার কারনে,অনেকটাই লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ শফিউল্লাহ সুলতান জানান, চলতি বছর উপজেলায় পেঁয়াজ চাষাবাদ হয়েছে ৮৮০ হেক্টর জমিতে আর রসুনের আবাদ হয়েছে ৮৫০ হেক্টর জমিতে।
No comments