Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    মাছধরা পেশা নয় নেশা, বলেছেন মাছ শিকারী


    আব্দুল মতিন, চারঘাট:
     চারঘাটে পুকুর-ডোবায় বড়শির ছিপ ফেলে মাছ শিকার গ্রাম-বাংলা থেকে এখনও হারিয়ে যায়নি। কিন্তু ব্যস্ততার ইট-পাথরের নগরীতে সে সময় কোথায় আর জলাশয়ইবা কোথায়?
    এরমধ্যেও থাকেন কেউ কেউ। খুঁজে বের করেন জলাশয়, মেতে যান মাছ শিকারের নেশায়। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) চারঘাট পাগল পাড়ার মোড়ের পাশে এক পুকুরে দেখা গেলো এমনই কিছু মাছ শিকারির। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ছিপ ফেলে বসে আছেন প্রায় ৪০-৪৫ জন।
    এদের একজন এনামুল ইসলাম।  তার লিজ নেওয়া পুকুরে দিয়েছে টিকিট প্রতি এক ছিটে ছিপ থাকবে ৫টি। মাছ শিকারের জন্য ৭,৫০০ টাকা দিয়ে টিকেট সংগ্রহ করেন মাছ শিকারিরা । দূরদূরান্ত থেকে আছেন মাছ শিকারিরা। নিয়ম মেনে ৫টি বড়শির ছিপ ফেলে মাছের অপেক্ষা করছেন সব শিকারী তিনিও একজন তাদের মধ্যে।

    এনামুল ইসলাম রাজশাহীর দর্পণ কে বলেন, মাছ শিকার করা আমার পেশা নয়, শৈশব থেকেই মাছ শিকারের প্রতি একপ্রকার নেশা অনুভব করি। যে নেশা প্রতিমূহুর্তে আমাকে বিমোহিত করে। এবার আমার নিজের লিজ নেওয়া পুকুরে টিকিট দিয়েছি।

    কত কেজি মাছ হলো- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১দিনে প্রায় ২৫-৩০ কেজি মাছ ধরেছি। যদিও এ মাছ টিকিটের অর্থের সমমূল্যের নয়, তবুও মাছ শিকার করতে আনন্দ লেগেছে। কারণ আমি অনেক জায়গায় মাছ শিকারে গিয়েছি আজ আমার নিজের পুকুরে অনেক শিকারি মাছ ধরতে এসেছে তাদের সঙ্গে আমিও মাছ ধরতেছি।
    এনামুল ইসলামের পাশে দেখা গেল মাছ শিকারের জন্য রাখা পিঁপড়ার ডিম, ছাতু, ঘি, মধু, মিষ্টি আচারসহ অনেক উপাদান।
    তিনি আরো বলেন, মানুষের বিভিন্ন শখ বা ইচ্ছে থাকে। আমার ইচ্ছে মাছ ধরা।
     কেবল তাই নয়, জীবনের অর্ধেকটা সময় ব্যবসায়িক কাজে অতিবাহিত করলেও এখন চান নিজের কিছু ইচ্ছে পূরণ করতে। তাইতো মাঝে মাঝে সময় পেলেই দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যান মাছ ধরতে কিংবা ঘুরতে।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728