বাঘায় গলায় ফাঁস দিয়ে স্ত্রীর মৃত্যুর পর বিষপাণে স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি ঃ
রাজশাহীর বাঘায় গলায় ফাঁস দিয়ে স্ত্রীর আত্মহত্যার পর বিষ পাণে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে স্বামী। স্ত্রী ফালগুনি (২২)কে উপজেলা হাসপাতালে নেয়ায় তাকে মৃত ঘোষনা করেণ জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিরিন সুমাইয়া। পরে স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে বাড়িতে গিয়ে বিষপাণে আত্মহত্যার চেষ্টা করে স্বামী লিটন আলী। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসার পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লিটন আলী (৩০) উপজেলার হিজলপল্লী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। গৃহবধু ফালগুনির বাবার বাড়ি ফরিদপুর জেলার নগর কান্দা থানার দফা গ্রামে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, রোববার (১২ জানুয়ারী) সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০ টায় স্বামীর বাড়ির নিজ শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলতে দেখে,স্বামী লিটন ও তার মা বেবেজান তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক গৃহবধু ফালগুনিকে মৃত ঘোষনা করেণ। এরপর মৃত ফালগুনিকে হাসপাতালে রেখে সেখান থেকে চলে যায় লিটন ও তার মা বেবেজান। পরে একইদিন দুপুর ১টায় বিষপাণে আত্মহত্যার চেষ্টা করে লিটন। স্থানীয় বাদশা ও ফারুক জানান, মাঠে যাওয়ার পথে বাড়ি পাশের আমবাগানে তাকে পড়ে থাকতে দেখেন। সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।
হাসপাতালে কথা হলে লিটন জানান,বাজার থেকে বাড়ি ফিরে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে হাসপাতালে নেন। ফরিদপুরের ওই গ্রামে কাজে গিয়ে বছর খানেক আগে প্রেম করে বিয়ে করেণ তিনি। স্ত্রীর মৃত্যু সইতে না পেরে পরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
ফাল্গুনীর স্বাশুড়ী বেজিজানের দাবি, বিয়ের পর সংসারে কোন অশান্তি ছিলনা। কেন তার ছেলের বউ আতœহত্যার পথ বেছে নিল তা তিরি বুঝতে পারছেননা।
ফাল্গুনীর পিতা ফারুক হোসেন জানান, মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার জন্য শনিবার সকালে জামাই আমাকে ফোন করেচিল। সোমবার গিয়ে মেয়েকে নিয়ে আসবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই মেয়ে লাশ হয়ে গেলো। তবে হত্যা করা হতে পারে বলে দাবি তার।
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তেরি করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
No comments