বাঘায় ৩০০ পিস ইয়াবাসহ তিন যুবক আটক
বাঘা ( রাজশাহী) প্রতিনিধি:
গাজিপুর থেকে চুরি হওয়া দুই হাজার পিস ইয়াবার মধ্যে তিনশ’ পিস ইয়াবাসহ তিন যুবককে আটক করেছে বাঘা থানা পুলিশ। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হলেন বাঘার নারায়নপুর গ্রামের সুইট, শিমুল ও আলমগীর। তবে গাজীপুর থেকে ইয়াবা চুরি করে আনা চোরাচালান সিন্ডিকেটের সদস্য বাঘার সরোয়ারকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে তারা নারায়নপুর এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে সরোয়ার (৩০), সোহরাব হোসেনের ছেলে আশিক (২৪), সিদ্দিক আলীর ছেলে সোহান (২৫), তার ভাই আলমগীর হোসেন (২৭), কালাম হোসেনের ছেলে শিমুল (২৭) ও হান্নানের ছেলে সুইটকে (২৫) মাদকসহ আটক করতে অভিযান চালায়। এ অভিযানে তারা সুইট, শিমুল ও আলমগীর হোসেনকে তিনশ’ পিস ইয়াবাসহ আটক করে।
তবে সুইটের পরিবার এবং স্থানীয়ভাবে পাওয়া গেছে ভিন্ন তথ্য। সূত্র জানায়, গাজিপুর থেকে চুরি হওয়া দুই হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের সন্ধ্যানে অস্ত্রসহ সোমবার দুপুরে মাইক্রোবাস নিয়ে ঢাকা থেকে বাঘায় অভিযানে এসেছিল গাজিপুরের মাদক চোরাচালান সিন্ডিকেটের চার সদস্য। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সিন্ডিকেটের অপর সদস্য বাঘা উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের সরোয়ার হোসেনকে খুঁজে বের করা। শেষ পর্যন্ত সরোয়ারকে না পেয়ে তারা মাথায় পিস্তল ধরে বাঘা থেকে রাজশাহী শহরে তুলে নিয়ে যায় তার খালাতো ভাই সুইটকে। এর তিন ঘন্টা পর সুইটের বাবা হান্নানকে আটক করে তাকে ছেড়ে দেয় অস্ত্রধারীরা।
নারায়নপুর গ্রামের রাব্বি হাসানসহ অনেকেই জানান, গাজিপুর থেকে দুই হাজার পিস ইয়াবা চুরি করে বাঘায় চলে আসে গাজিপুর চোরাচালান সিন্ডিকেটর সদস্য ও বাঘার নারায়পুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে সরোয়ার জাহান (৩০)। এ খবর জানতে পেয়ে মাইক্রোবাস নিয়ে ওই সিন্ডিকেটের সদস্য রনি ও ইব্রাহিমসহ চার যুবক সোমবার দুপুরে বাঘার নারায়নপুর গ্রামে জাহাঙ্গীরের বাড়ি চলে আসে। এরপর তাকে না পেয়ে তার খালাতো ভাই সুইটকে মাথায় পিস্তুল ধরে রাজশাহী শহরে তুলে নিয়ে যায় তারা। এর তিন ঘন্টা পর ওই সিন্ডিকেটের অপর সদস্যরা গাজিপুর থেকে ফোনে জানায় সুইটের বাবাকে তারা গাজিপুরে আটক করেছে। এরপর তারা সুইটকে তার খালাতো ভাই সরোয়ারকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব দিয়ে ঢাকা চলে যায়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন সুইট।
নারায়পুর এলাকার লোকজন জানান, সুইট ও তার বাবা-মা গাজিপুর এলাকার একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করার সুবাদে তারা সবাই সেখানে বসবাস করে। তবে এই মুহুর্তে সুইট ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছেন। মাঝখানে মাদক নিয়ে কি হয়েছে, সেটা তার জানা নেই বলে দাবি করেন সুইট।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, গাজিপুর থেকে মাদক চুরির নেপথ্যে কি ঘটেছে, সেটা আমার জানা নেই। এখানে কিডনাপ (অপহরণ) অভিযোগে কেউ কোন অভিযোগও করেনি। আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে রাতে কিছু বাড়িতে অভিযান চালাই। এর মধ্যে তিনজনকে তিনশ’ পিস ইয়াবাসহ আটক করি। পরে তাদের নামে মাদকের মামলা দিয়ে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারগারে পাঠিয়েছি।
No comments