চারঘাটে তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় আক্রান্ত ধানের বীজতলা
নিজস্ব প্রতিবেদক,চারঘাট:
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ৩১হেক্টর জমিতে লাগানো হয়েছে ইরি-বোরো বীজ। কিন্তু ইরি-বোরোর চারা বা বীজতলা তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় আক্রান্ত হয়েছে। তাই ক্রমেই চারাগুলো কালো, লাল বা সাদা বর্ণের হয়ে পঁচে মারা যাচ্ছে।
তবে কৃষি বিভাগ জানায়, এতে হতাশার কিছু নেই। পলিথিন দিয়ে জমি ঢেকে বা জমিতে পানি আটকে রেখে বা প্রতিদিন সকালে বাশের কঞ্চি দিয়ে কুয়াশা ফেলে ধান গাছের চারা বাঁচানো সম্ভব।
সরেজমিনে দেখা যায়, চারঘাট উপজেলায় চলতি মাসের শুরু থেকে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। পাশাপাশি কিছু দিন আগে হয়েছে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। এতে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। শীতের প্রভাব পড়েছে ক্ষেত-খামার ও ইরি-বোরো বীজতলায়। ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়ে ধানের চারাগুলো কালো, লাল বা সাদা বর্ণের হয়ে পঁচে মারা যাচ্ছে।
উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল কাদের বলেন, ‘৫ শতাংশ জমিতে এবার বোরোর বীজ লাগানো হয়েছে। কিন্তু শীতের কারণে বীজের চারাগুলো সাদা বর্ণের হচ্ছে। জানি না, চারাগুলো জমিতে রোপণ করা সম্ভব হবে কি-না।’
পরানপুর ইউনিয়নের গওরা গ্রামের কৃষক সাদেক আলী বলেন, ‘গতবছর বৃষ্টির পরে চড়া দামে আমনের চারা কিনতে পারিনি বলেই আমনের আবাদ না করে জমি পরিত্যক্ত রেখেছিলাম। এ বছর যদি ঘন কুয়াশায় বোরোর চারা মারা যায়, তাহলে কোনোভাবেই বোরোর চাষ সম্ভব না।’
শলুয়া ইউনিয়নের কৃষক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘শীতের কারণে এবার বোরোর চারা সাদা বর্ণের হয়ে গেছে। এমন আবহাওয়া যদি সপ্তাহখানেক থাকে, তাহলে চারাগুলো পঁচে যেতে পারে। ফলে আমাদের বোরো চাষে চারা সঙ্কট দেখা দিতে পারে।’
শলুয়া ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘শীতে আক্রান্ত বীজতলার বিষয়ে মাঠে মাঠে ঘুরে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’ চারঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুনজুর রহমান বলেন, পরিবেশ এখনো ভাল রয়েছে। শীতে বীজতলা নিয়ে হতাশার কিছু নেই।পলিথিন দিয়ে জমি ঢ়েকে রাখতে হবে এবং প্রতিদিন সকালে বীজতলা থেকে কুয়াশা গুলো ফেলে দিতে হবে। তাহলে বীজতলার কোনো ক্ষতি হবেনা।
No comments