চারঘাটে পায়ের ভেতরে গুলি রেখেই সেলাই করে দিলো ডাক্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক, চারঘাট:
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পায়ের ভেতরে গুলি রেখেই সেলাই ও ব্যান্ডেজ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীর নাম এনামুল মন্ডল (৬৫)। তিনি মিয়াপুর গ্রামের মৃত নাদের মন্ডলের ছেলে।
এ ব্যাপারে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
জানা যায়, আজ রবিবার সকাল ১১টার দিকে চারঘাট চারমাথা মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন এনামুল মন্ডল। হঠাৎ একটা কিছু এসে তার বাম পায়ে আঘাত করে। তিনি তাৎক্ষণিক চিৎকার দিয়ে উঠে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পথচারীরা তাকে ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা ধারনা করেন সারদা পুলিশ একাডেমীর ট্রেনিংয়ের গুলিতে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা কোনো রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই ক্ষত হওয়া জায়গাটি সেলাই করে ব্যান্ডেজ করে গুলিবিদ্ধ এনামুল মন্ডলকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাড়িতে ফিরে যাবার পথে এনামুল মন্ডল বাজারে এক জায়গায় বসে বিশ্রাম নেন। তখন তার পায়ে যন্ত্রণা আরো বাড়তে থাকে।পরিবারের লোকজন বিষয়টা জেনে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে গিয়ে এক্স-রে করায়।
রিপোর্ট এ দেখা যায় পায়ের মধ্যে গুলি রয়েছে। আর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পায়ের মধ্যে সেই গুলি রেখেই সেলাই ও ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে।
এনামুল মন্ডলের পরিবার জানায়, পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাবার পর তারা তাৎক্ষণিক আবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসকরা গুলিটি অপসারণ করা জন্য আহত ব্যক্তিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। অপারেশনের মাধ্যমে গুলিটি পা থেকে বের করতে হবে। এর সাথে জড়িতদের চরম অবহেলার কঠোর শাস্তি দাবী করেছেন তার পরিবারের লোকজন।
দায়িত্বরত চিকিৎসক সৌয়ব আহমেদ রিয়াদ জানান, আহত ব্যাক্তি গুলিবিদ্ধ হবার কথা তাদের বলেনি। সেজন্য তারা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন শুধু। সে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে না চাওয়ায় সেটাও করা হয়নি। আর রোগী নিজের ইচ্ছেতেই চলে গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা: আলী রাশেদ বলেন, আহত ব্যাক্তি গুলির কথা না বলার কারণেই এমনটা ঘটেছে। পরবর্তীতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পায়ের ভেতরে গুলি রেখেই সেলাই ও ব্যান্ডেজ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীর নাম এনামুল মন্ডল (৬৫)। তিনি মিয়াপুর গ্রামের মৃত নাদের মন্ডলের ছেলে।
এ ব্যাপারে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
জানা যায়, আজ রবিবার সকাল ১১টার দিকে চারঘাট চারমাথা মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন এনামুল মন্ডল। হঠাৎ একটা কিছু এসে তার বাম পায়ে আঘাত করে। তিনি তাৎক্ষণিক চিৎকার দিয়ে উঠে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পথচারীরা তাকে ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা ধারনা করেন সারদা পুলিশ একাডেমীর ট্রেনিংয়ের গুলিতে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা কোনো রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই ক্ষত হওয়া জায়গাটি সেলাই করে ব্যান্ডেজ করে গুলিবিদ্ধ এনামুল মন্ডলকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাড়িতে ফিরে যাবার পথে এনামুল মন্ডল বাজারে এক জায়গায় বসে বিশ্রাম নেন। তখন তার পায়ে যন্ত্রণা আরো বাড়তে থাকে।পরিবারের লোকজন বিষয়টা জেনে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে গিয়ে এক্স-রে করায়।
রিপোর্ট এ দেখা যায় পায়ের মধ্যে গুলি রয়েছে। আর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পায়ের মধ্যে সেই গুলি রেখেই সেলাই ও ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে।
এনামুল মন্ডলের পরিবার জানায়, পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাবার পর তারা তাৎক্ষণিক আবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসকরা গুলিটি অপসারণ করা জন্য আহত ব্যক্তিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। অপারেশনের মাধ্যমে গুলিটি পা থেকে বের করতে হবে। এর সাথে জড়িতদের চরম অবহেলার কঠোর শাস্তি দাবী করেছেন তার পরিবারের লোকজন।
দায়িত্বরত চিকিৎসক সৌয়ব আহমেদ রিয়াদ জানান, আহত ব্যাক্তি গুলিবিদ্ধ হবার কথা তাদের বলেনি। সেজন্য তারা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন শুধু। সে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে না চাওয়ায় সেটাও করা হয়নি। আর রোগী নিজের ইচ্ছেতেই চলে গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা: আলী রাশেদ বলেন, আহত ব্যাক্তি গুলির কথা না বলার কারণেই এমনটা ঘটেছে। পরবর্তীতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
No comments