বাঘায় লাউয়ে ভাগ্যেবদলে ১ বোঁটায় দুলছে ২৬টি আরেক বোঁটায় ২০টি
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাঘায় দুই গ্রামের একটিতে লাউয়ের মাচায় দোল খাচ্ছে এক বোঁটায় ছোট বড় ২৬টি ও আর এক গ্রামের এক বোঁটায় ২০টি লাউ। আলোচিত সেই লাউগাছের এক বোঁটায় এতো লাউ ধরার চাঞ্চল্যকর খবর পেয়ে সেই দুইগ্রামে প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে উৎসুক জনতার।
এক বোঁটায় ছোট বড় ২৬টি লাউ ধরেছে উপজেলার বাউসা মাঠপাড়া গ্রামের সাকবর আলীর বসত বাড়ির সাপরা ঘরের পাশে লাগানো একটি লাউ গাছে। আর একই উপজেলার সোনাদহ গ্রামের আমজাদ হোসেনের বাড়ির আঙ্গিনায় লাগানো লাউ গাছের এক বোঁটায় ধরেছে ছোট বড় ২০টি লাউ (কদু)। বিরল দৃশ্যটি দেখার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে উৎসুক জনতার।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিয়ে ইতোমধ্যে সেই দুইগ্রামের লাউগাছটি পরিদর্শন করেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান। করোনার মধ্যেও এটি দেখতে যারা আসছেন,তারা সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে দেখে চলে যাচ্ছেন। অনেকে আবার ফোন করে খবর নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন কথা হলে,মাঝপাড়া গ্রামের সাকবর আলীর জানান, গতবছর স্থানীয় বাজার থেকে হাইব্রিড লাউয়ের বীজ এনে রোপণ করেন তিনি। সেই গাছের লাউ থেকে বীজ সংগ্রহ করেন তার স্ত্রী নীলা খাতুন । পরে সেই বীজ চলতি বছরে ফের রোপণ করলে গাছে শতাধিক লাউ ধরে। কিন্তু হঠাৎ করেই তার নজরে আসে এক বোঁটায় ধরা ২৬টি এই অস্বাভাবিক লাউ।
সোনাদহ গ্রামের আমজাদ হোসেন বলেন, তিনিও স্থানীয় বাজার থেকে বীজ কিনে রোপন করেছেন। সঠিক পরিচর্যায়,লাউ গাছে প্রথম থেকে যথেষ্ট পরিমাণে লাউ ধরেছে। এর মাঝে লাউ গাছের এক বোঁটায় (ডগায়) ধরেছে ২০টি লাউ। একটি বোঁটায় এতগুলো লাউ ধরায় নরম কাপড় দিয়ে বোঁটি (বোটা) শক্ত করে বেঁধে দিয়েছি। গত কয়েকদিনে ওই বোঁটা থেকে কয়েকটি লাউ খাওয়া হয়েছে।
দর্শনার্থী অধ্যক্ষ সামরুল হোসেন জানান, গাছটির একটি বোঁটা থেকে ছোট-বড় মিলিয়ে একটিতে ২৬টি আরেকটিতে ২০ লাউ ধরেছে, যা সত্যিই বিস্ময়কর ঘটনা। বিষয়টি প্রকৃতির খেয়াল ছাড়া আর কিছুই নয়।
উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের, দূর্গাপুর কলেজের সহকারি অধ্যাপক ড. ওয়াহিদা খাতুন বলেন,উদ্ভিদের ভিতরে কোষগুলো অস্বাভাবিক নিউটেশনের কারণে অস্বাভাবিকভাবে ফুল ও ফল আসে।যার ফলশ্রæতিতে উদ্ভিদের অংশ বিশেষে ফুল ও ফলের আধিক্য ঘটে। এটা কোনো অলৌকিক ঘটনা নয়, কখনও কখনও এমনটা হতেই পারে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান জানান, দুই পাতার দুরত্ব কমে যাওয়ায় হরমোনিক কারণে অল্প জায়গা এমন গুচ্ছ লাউ ধরে থাকতে পারে। গাছটিতে নারী ফুলের সংখ্যা বেশি থাকাও কারণ হতে পারে। তারা ওই বীজ থেকে গাছরোপণ করে গবেষণা পরিচালনা করবেন। পরবর্তীতে এমনটা হয় কিনা দেখার জন্য আমরা এর বীজ সংরক্ষণ করবো।##
রাজশাহীর বাঘায় দুই গ্রামের একটিতে লাউয়ের মাচায় দোল খাচ্ছে এক বোঁটায় ছোট বড় ২৬টি ও আর এক গ্রামের এক বোঁটায় ২০টি লাউ। আলোচিত সেই লাউগাছের এক বোঁটায় এতো লাউ ধরার চাঞ্চল্যকর খবর পেয়ে সেই দুইগ্রামে প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে উৎসুক জনতার।
এক বোঁটায় ছোট বড় ২৬টি লাউ ধরেছে উপজেলার বাউসা মাঠপাড়া গ্রামের সাকবর আলীর বসত বাড়ির সাপরা ঘরের পাশে লাগানো একটি লাউ গাছে। আর একই উপজেলার সোনাদহ গ্রামের আমজাদ হোসেনের বাড়ির আঙ্গিনায় লাগানো লাউ গাছের এক বোঁটায় ধরেছে ছোট বড় ২০টি লাউ (কদু)। বিরল দৃশ্যটি দেখার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে উৎসুক জনতার।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিয়ে ইতোমধ্যে সেই দুইগ্রামের লাউগাছটি পরিদর্শন করেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান। করোনার মধ্যেও এটি দেখতে যারা আসছেন,তারা সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে দেখে চলে যাচ্ছেন। অনেকে আবার ফোন করে খবর নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন কথা হলে,মাঝপাড়া গ্রামের সাকবর আলীর জানান, গতবছর স্থানীয় বাজার থেকে হাইব্রিড লাউয়ের বীজ এনে রোপণ করেন তিনি। সেই গাছের লাউ থেকে বীজ সংগ্রহ করেন তার স্ত্রী নীলা খাতুন । পরে সেই বীজ চলতি বছরে ফের রোপণ করলে গাছে শতাধিক লাউ ধরে। কিন্তু হঠাৎ করেই তার নজরে আসে এক বোঁটায় ধরা ২৬টি এই অস্বাভাবিক লাউ।
সোনাদহ গ্রামের আমজাদ হোসেন বলেন, তিনিও স্থানীয় বাজার থেকে বীজ কিনে রোপন করেছেন। সঠিক পরিচর্যায়,লাউ গাছে প্রথম থেকে যথেষ্ট পরিমাণে লাউ ধরেছে। এর মাঝে লাউ গাছের এক বোঁটায় (ডগায়) ধরেছে ২০টি লাউ। একটি বোঁটায় এতগুলো লাউ ধরায় নরম কাপড় দিয়ে বোঁটি (বোটা) শক্ত করে বেঁধে দিয়েছি। গত কয়েকদিনে ওই বোঁটা থেকে কয়েকটি লাউ খাওয়া হয়েছে।
দর্শনার্থী অধ্যক্ষ সামরুল হোসেন জানান, গাছটির একটি বোঁটা থেকে ছোট-বড় মিলিয়ে একটিতে ২৬টি আরেকটিতে ২০ লাউ ধরেছে, যা সত্যিই বিস্ময়কর ঘটনা। বিষয়টি প্রকৃতির খেয়াল ছাড়া আর কিছুই নয়।
উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের, দূর্গাপুর কলেজের সহকারি অধ্যাপক ড. ওয়াহিদা খাতুন বলেন,উদ্ভিদের ভিতরে কোষগুলো অস্বাভাবিক নিউটেশনের কারণে অস্বাভাবিকভাবে ফুল ও ফল আসে।যার ফলশ্রæতিতে উদ্ভিদের অংশ বিশেষে ফুল ও ফলের আধিক্য ঘটে। এটা কোনো অলৌকিক ঘটনা নয়, কখনও কখনও এমনটা হতেই পারে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান জানান, দুই পাতার দুরত্ব কমে যাওয়ায় হরমোনিক কারণে অল্প জায়গা এমন গুচ্ছ লাউ ধরে থাকতে পারে। গাছটিতে নারী ফুলের সংখ্যা বেশি থাকাও কারণ হতে পারে। তারা ওই বীজ থেকে গাছরোপণ করে গবেষণা পরিচালনা করবেন। পরবর্তীতে এমনটা হয় কিনা দেখার জন্য আমরা এর বীজ সংরক্ষণ করবো।##
No comments