ইন্টারনেট লাইনের তার কর্তন: সেবা থেকে বঞ্চিত ৫ শতাধিক গ্রাহক
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বিশ্বের অফুরন্ত জ্ঞানভাণ্ডারের সঞ্চয় আমানত হলো ইন্টারনেট। বাস্তবিকই ইন্টারনেটকে তথ্যের সমুদ্র বলা যায়, সারা বিশ্বের মানুষ যে সমুদ্র থেকে তাঁদের প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারেন। প্রায় প্রতিটি শহরের মত বর্তমানে গ্রামেও পৌছে গেছে ইন্টারনেট। তেমনি ভাবে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা ও পুঠিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে ইন্টারনেট লাইন পৌছে দিয়েছে “ইউনিক অনলাইন” নামের একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান । তারা সল্প মূল্যে উক্ত উপজেলাগুলোর গ্রামের ছাত্র ,চাকুরিজীবী,সহ প্রায় ৫ শতাধিক এর বেশি গ্রাহককে এই ইন্টারনেট সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। অল্প কিছু সময়ে কাঙ্খিত সেবা দিয়ে অনেক সুনাম অর্জন করেছেন এই “ইউনিক অনলাইন” নামের এই প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু ইন্টারনেট লাইনের তার কর্তনের ফলে এই প্রতিষ্ঠান এর সুনাম ক্ষুন্ন হতে চলেছে।
নির্ভরযোগ্য এক সূত্রে জানা যায়, এক ডিস ব্যবসায়ী শত্রুতার জের ধরে “ইউনিক অনলাইন” এর ইন্টারনেট লাইনের তার কর্তনের ফলে চারঘাট,পুঠিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৫ শতাধিক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা কাঙ্খিত সেবা থেকে প্রায় ১৫ দিন যাবৎ বঞ্চিত রয়েছেন। এর মধ্যে অনেক ব্যবহারকারীরা আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং কার্যক্রমের সাথে যুক্ত যার ফলে তারা উপার্জন করা থেকেও বঞ্চিত রয়েছেন। আবার অনেকে স্মার্ট টিভি ব্যবহার করেন তারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে টিভি দেখেন তারাও টিভি দেখা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। যার ফলে এসব গ্রাহকরা ব্যপকভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
চারঘাট উপজেলার বামনদিঘী গ্রামের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ইসতিয়াক আহমেদ বাপ্পি জানান, আমি ফাইভার ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে ঘরে বসে কাজ করে উপার্জন করি। করোনা ভাইরাস এর সংকোটময় পরিস্থিতে বর্তমানে ইন্টারনেট লাইন না পেয়ে আমি উপার্জন থেকে বঞ্চিত আছি যা অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুঠিয়া উপজেলার জনতা ব্যাংক লি: এর এক কর্মকর্তা বলেন, আমার বাড়িতে “ইউনিক অনলাইন” এর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ আছে। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারনে অফিসের সময় কম দেওয়া হয়েছে। আমি বাড়িতে বসেই অফিসিয়াল কিছু কাজ করি। কিন্তু তার কাটার ফলে ইন্টারনেট লাইন নেই। বর্তমানে আমি ইন্টারনেট সেবা থেকে অনেকটাই বঞ্চিত রয়েছি। সিম কার্ড দিয়ে নেট কিনলেও তেমন স্পীড পাওয়া যায়না যার কারনে ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে আমি অনেক অসুবিধাই আছি।
অপরদিকে “ইউনিক অনলাইন” ইন্টারনেট লাইনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আমাদের প্রায় ৮ কিঃ ইন্টারনেট লাইনের তার শত্রুতাপূর্বক কেটে ফেলেছে ডিস ব্যবসায়ীর লোকজন। যার ফলে গ্রাহকদের আমরা সঠিক ভাবে সেবা প্রদান করতে পারছিনা। আমাদের লাইনের স্পীড বেশি এবং আমাদের সেবাদানের কোনরকম ত্রুটি নেই। যার কারনে গস্খাহকরা আমাদের লাইন নিতে অনেক আগ্রহ প্রকাশ করে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা যেমন উপার্জন ও সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন আমরাও লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। মাঝে মধ্যে আমাদের লাইনের তার কেটে ফেলা হয় যার কারনে এ বিষয়ে আমরা পূর্বেই সাধারন জিডি করে রেখেছিলাম ও পরবর্তীতে পুঠিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি জোরপূর্বক তার কর্তনকারী ডিস ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। বিষয়গুলো সমাধান হলে আগের মতই আমরা গ্রাহকদের কাঙ্খিত ইন্টারনেট সেবা প্রদান করার চেষ্টা করবো।
No comments