Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    চারঘাটের সেই বৃদ্ধা সুস্থ হয়েই দেখা করলেন ইউএনও’র সাথে


    আব্দুল মতিন, চারঘাট:
    রাজশাহীর চারঘাটে ত্রান চেয়ে মারধরের শিকার বৃদ্ধা আজ রবিবার হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন। আর সুস্থ হয়েই বৃদ্ধা রিজিয়া বেওয়া হাসপাতাল থেকে গেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দা সামিরার সাথে দেখা করতে।

    এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজে ব্যাক্তিগত ভাবে রিজিয়ার উন্নত চিকিৎসা এবং পুষ্টিকর খাবার কেনার জন্য আর্থিক সহযোগিতা করেছেন।

    জানা যায়, গত ৭ই এপ্রিল ত্রানের তালিকায় নাম উঠাতে চেয়ে মারধরের শিকার হোন রিজিয়া বেওয়া(৬৫)। ঘটনাটি জানার পরে তাৎক্ষণিক ঐ বৃদ্ধার পাশে দাঁড়ান উপজেলা প্রশাসন ও চারঘাট মডেল থানা পুলিশ। রিজিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে এ বিষয়ে মডেল থানায় একটি মামলা রুজু হয়। পুলিশ সেদিনই দুইজন আসামীকে আটক করেন।

    পরবর্তীতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, জেলা প্রশাসক হামিদুল হক ও জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ ঐ বৃদ্ধাকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন।

    দীর্ঘ ১২ দিন চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়ার পরে আজ রবিবার সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পান তিনি। চিকিৎসাধীন পুরোটা সময় রিজিয়ার সার্বিক খোঁজ খবর রেখেছেন চারঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা সামিরা। আর সেজন্য ঐ বৃদ্ধা কৃতঙ্গতা জানাতে ভোলেননি। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে প্রথমেই গেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা সামিরার সাথে দেখা করতে।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গেলে রিজিয়া বেওয়াকে নিজ অফিসে বসিয়ে কুশল বিনিময় করেন তিনি। রিজিয়ার বর্তমান শারিরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন এবং তার আত্নীয়দের সাথে কথা বলেন।

    এসময় ইউএনও ব্যাক্তিগত ভাবে রিজিয়ার উন্নত চিকিৎসা এবং পুষ্টিকর খাবার কেনার জন্য আর্থিক সহযোগিতা করেন।

    রিজিয়া বেওয়া বলেন, যারা আমাকে ত্রান না দিয়ে মারধর করেছিল তারা অমানুষ আর উপজেলার বড় স্যাররা অনেক ভাল মানুষ। আল্লাহ্‌ তাদের মঙ্গল করবেন।

    এ সময় রিজিয়ার বোন আশরাফুন বেগম বলেন, আমার বোন একজন বৃদ্ধ ভিক্ষুক। মানুষের সহযোগিতা নিয়ে সে চলে। আমার অসহায় বোনকে যারা মেরেছে তাদের কঠোর শাস্তি চাই। তিনি তার বোনের চিকিৎসা এবং সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য উপজেলা প্রশাসন এবং চারঘাট মডেল থানার পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

    এ বিষয়ে চারঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা সামিরা বলেন, মানবিক দৃষ্টিকোন থেকেই আমরা বৃদ্ধার পাশে থেকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। তাকে সুস্থ দেখে অনেক ভাল লাগছে। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে ইতিমধ্যেই তার বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তার উন্নত চিকিৎসা এবং পুষ্টিকর ফলমূল খাওয়ার জন্য আমি ব্যাক্তিগত ভাবে তাকে কিছু আর্থিক সহযোগিতা করেছি।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728