Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    করোনা সংকটে দুর্দশায় চারঘাটের কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকরা!


    আব্দুল মতিন, চারঘাট:
    করোনার কারণে আগে থেকেই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এখন চলছে লকডাউন। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন সব শ্রেণীপেশার মানুষ। এর মধ্যে কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকদের পরিবারে চলছে নীরবে অভাব অনটন। কারণ তাদের পরিবার চলে শিক্ষার্থীদের বেতনের টাকায়।

    রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় বেসরকারিভাবে পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে তাদের জীবন যাপনের কথা জানা যায়। কিছু শিক্ষকের আর্থিক সচ্ছলতা থাকলেও বেশির ভাগ শিক্ষকই কর্মহীন হয়ে বাড়িতে বসে রয়েছেন।

    জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ২৫টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে (কেজি) কমপক্ষে ২৫০ জন শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োজিত রয়েছেন। তারা শিক্ষার্থীদের পাঠশিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতনের টাকায় পরিচালিত হয়। শিক্ষাথীদের টাকায় শিক্ষকরা বেতন ভাতা পেয়ে থাকেন। তা দিয়ে চলে শিক্ষকদের অস্বচ্ছল পরিবারের ভরণপোষন। কিন্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ছুটি থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের বেতনও বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে এসব শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন।

    ফলে কোনোদিক থেকেই তারা উপার্জন করতে পারছেন না। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অর্থবিত্ত না থাকলেও সমাজে তারা শিক্ষক হিসেবেই সম্মানীয়। ফলে তারা না পারছে লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ নিতে, না পারছেন মুখ ফুটে কাউকে কিছু বলতে। ফলে মানুষ গড়ার কারিগররা এখন তাদের সংসারের ব্যয়ভার বহন করতে হিমশিম খাচ্ছেন।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন শিক্ষক বলেন, কেজি স্কুলে শিক্ষকতা ও প্রাইভেট পড়িয়ে কোনো রকম পরিবারের খরচ সামাল দিচ্ছি। একটি কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ঢ়ুকে আছি এখনও এমপিও হয়নি। এমনিতেই কেজি স্কুল থেকে ঠিকভাবে বেতন পাই না তার উপর করোনায় লকডাউন।

    ফলে আর্থিক অস্বচ্ছল শিক্ষকদের পরিবারে নীরবে চরম অভাব চলছে। শিক্ষিত মানুষ চক্ষু লজ্জার ভয়ে কাউকে বলতেও পারছি না আবার সইতেও পারছি না। তাই সরকার ও সমাজের বিত্তবান মানুষেরা যেন আমাদের কষ্টটা একটু বুঝার চেষ্টা করেন।

    চারঘাট উপজেলার সরদহ মডেল স্কুলের পরিচালক শরীফুল ইসলাম বলেন, আমরা কেজি স্কুলের শিক্ষকরা সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা পাইনা। সেজন্য আমাদের অধিকাংশ শিক্ষকই চরম অর্থ কষ্টে রয়েছেন। আমরা অনেক জনপ্রতিনিধিকেও বিষয়টা জানিয়েছি। চলমান দুর্যোগে আমাদের শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকারি কিংবা বেসরকারি ভাবে সহায়তার আবেদন জানাচ্ছি।

    এ বিষয়ে চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা সামিরা জানান, শিক্ষকতা অনেক সম্মানের পেশা। কিন্তু সব শিক্ষকই হয়তো একেবারে অসচ্ছল না। আমাদেরকে জানলে, আমরা স্থানীয় মেয়র ও চেয়ারম্যানের মাধ্যমে যাচাই বাছাই করে প্রকৃতই যারা অভাব অনটনে রয়েছেন তাদের সহায়তার ব্যবস্থা করবো।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728