অবশেষে মরদেহের সৎকার হলো ডাঃ মিঠুন শীলের তত্ববধানে
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার প্রত্যান্ত চরাঞ্চালের চকরাজাপুর ইউনিয়নের মধ্য কালিদাশখালি গ্রামের নারায়ন শিলের মৃত্যুর পর মা মুনুরানী (নারায়ন শিলের স্ত্রী) ও ২ ছেলে নিয়ে নিয়ে ওই গ্রামে বসবাস করেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমভু সীল (৫০) (নাপিত)। বৃহসপতিবার (২৩-৪-২০২০) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বার্দ্ধক্য জনিত কারণে ৭৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেণ সমভু সীলের মা মুনুরানী। কিন্তু স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও দেশের এই পরিস্থিতিতে তার সৎকারে এগিয়ে যাননি সনাতন ধর্মের কেউ। অবশেষে পরদিন শুক্রবার (২৪-০৪-২০২০) সকাল ১০টায় উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে মনজু ডাইগোনেষ্টিক সেন্টারের পরিচালক ডাঃ মিঠুন শীলের তত্ববধানে কয়েকজন লোক সেখানে গিয়ে মৃত আত্তার সমাধীস্থ করা হয়। তাদের সাথে মৃতের ছেলে-নাতীরা ওই ইউনিয়নের উত্তর কালিদাশখালি গ্রামের পদ্মা পাড়ে নিয়ে গিয়ে তাকে সমাধীস্থ করেণ বলে জানান, ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল আযম। এ সময় স্বাস্থ্য বিভাগের কাউকে দেখা যায়নি। তিনি জানান তার ইউনিয়নের ওই গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের আরেকটি কামার পরিবার বসবাস করেণ। মৃত নারীর ছেলে সমভু সীল বলেন, বার্দ্ধক্য জনিত কারণে চলাফেরা করতে পারতোনা। দীর্ঘদিন ঘরেই শুয়ে ছিল। মারা যাবার পর তারা ছাড়া অন্যরা কেউ এগিয়ে আসেনি।
হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা সুজিত কুমার পান্ডে বাকু তার ফেসবুক আইডিতে যে টেটাস দিয়েছেন,তা হলো-স্বাভাবিক মৃত্যু সৎকাজের লোক নাই, সনাতন ধর্মের মানুষ,মৃত নারায়ন শিলের স্ত্রী মুনুরানী,বয়স পচাত্তর রাজশাহী,বাঘা থানার চকরাজাপুরের চেয়ারম্যান আজিজুল আলম আমাকে ঘটনাটি অভিহিত করলে,বাঘা মন্জু ডাইগোনেষ্টিকে সেন্টারের মালিক ডা; মিঠুন শীলের তত্ববধানে কয়েকজন লোক পাঠিয়ে মৃত আত্তার সমাধীস্হ করাহয়। করোনা আজ আপনজনদের দূরে সরিয়ে দিয়েছে। যাক এইসময়ে আমার ডাকে সাড়া দিয়ে মৃত আত্তার সৎকাজকরে সমাধীস্হ করছেন,তাদের নিকট সাড়া জিবনের জন্য.চির ঋিনি হয়ে গেলাম, কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাদের। এইসময়ে কাহারো মৃত্য যেন না হয়,এটাই সবারই কাম্য হউক। শুভকামনা।##
No comments