চারঘাটে করোনা আতঙ্কের মধ্যেও হাটে অতিরিক্ত ইজারা আদায়
নিজস্ব প্রতিবেদক, চারঘাট:
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সদর বাজারে সরকারি নির্ধারিত ছাড়াও কয়েক গুণ বেশি ইজারা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। পৌরসভার নিয়ন্ত্রিত এ বাজার পূর্বের ইজারাদারের মেয়াদ শেষ হবার কারণে বর্তমানে পৌরসভার খাস ইজারায় রয়েছে। হাট নতুন ভাবে ইজারা হস্তান্তর না করায় পৌরসভা কতৃপক্ষ খাস ইজারা আদায় করছে বলে জানিয়েছে পৌর মেয়র।
কিন্তু হঠাৎ করেই গত দুই সপ্তাহ যাবৎ আগের চেয়ে দ্বিগুণ হারে ইজারা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ বাজারে সাধারণ কৃষক কৃষিপণ্য ও কাঁচা সবজি ব্যবসায়ীরা বেচাকেনা করে থাকেন। অতিরিক্ত খাজনা দিতে গিয়ে তাঁদের নাভিশ্বাস উঠেছে।
জানা যায়, করোনাভাইরাস মহামারী কারণে রাজশাহী জেলা লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে উপজেলার কাঁচা বাজার গুলোতেও। সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখতে উপজেলার বাজারগুলো পাশের বিদ্যালয়ের মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে।
চারঘাট সদরের কাঁচা বাজার স্থানান্তর করা হয়েছে চারঘাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। কিন্তু বাজারটিতে সরকার নির্ধারিত মূল্যের বাইরে খাজনা আদায়কারীরা অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছেন। আগে যে খাজনা নেওয়া হতো ১০ টা, তা হঠাৎ বেড়ে হয়েছে ৩০ টাকা। আবার ২০ টাকার খাজনা নেওয়া হচ্ছে ৪০ টাকা। এতে সাধারণ কৃষক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। পৌর কতৃপক্ষ খাস ইজারা আদায় করলেও করোনার সময় হঠাৎ বৃদ্ধিতে তারা নাজেহাল হয়ে পড়েছেন।
তবে হাটের ইজারা আদায়কারী মনিরুল ইসলাম নিজেদের হাটের ইজারাদার দাবি করে বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার দ্বিগুন দামে হাটের ইজারা নেওয়া হয়েছে। সেজন্য একটু বেশি পরিমানে টাকা নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া বাজারে দোকানও কম বসছে।
সাজদার আলী নামে এক সবজি ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, করোনার কারনে বাজারে বেচাকেনা একেবারেই কম। এর মধ্যে খাজনা বেড়ে দ্বিগুনেরও বেশি হয়েছে। বাজারে কোনো পণ্য তুললেই খাজনা দিতে হয়। বিক্রি না হলেও জোর করে খাজনা আদায় করা হয়।
চারঘাট বাজার নিয়ন্ত্রণকারী কতৃপক্ষ চারঘাট পৌরসভার মেয়র জাকিরুল ইসলাম বিকুল বলেন, চারঘাট সদরের বাজার এখনো কারও কাছে ইজারা দেওয়া হয়নি। পৌরসভা খাস ইজারা আদায় করছে। তবে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করতে দেওয়া হবেনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সামিরা বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। ইতিমধ্যেই খাজনা আদায়কারীদের ডেকে সরকারি নির্দেশনা মেনে খাজনা আদায় করতে বলা হয়েছে।
No comments