চারঘাটে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ধান কাটতে যাচ্ছে শ্রমিকরা
আব্দুল মতিন,চারঘাট:
করোনাভাইরাসের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজের সন্ধানে বিভিন্ন অঞ্চলে ছুটছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার কৃষি শ্রমিকরা।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে থেকে অনুমতি নিয়েছেন প্রায় ২হাজার শ্রমিক।
জানা গেছে, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, পাবনা, সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামে গ্রামে বোরো ধান পাকা শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে পুরোপুরি ধান কাটা শুরু হবে।
এ মৌসুমে নিজ এলাকায় তেমন কোনো কাজ থাকে না। এ কারণে অলস দিন কাটে কৃষি শ্রমিকদের। তারপর করোনাভাইরাসের কারণে ঘর থেকে বের হতে না পেরে হাতের জমানো টাকাও শেষ। ধার-দেনা করে সংসার চালাতে গিয়ে অনেকেই ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তাই করোনাভাইরাসে লকডাউনের কারণে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি কর্মকর্তার কাছে থেকে অনুমতি নিয়ে কাজের সন্ধানে ছুটছেন কৃষি শ্রমিকরা।
ইতিমধ্যেই কিছু এলাকায় আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। ওই অঞ্চলের ধান চাষিরা চারঘাট উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে খোঁজ করে কৃষি শ্রমিক নিয়ে যায়।
তাই প্রতিদিন বিপুল সংখ্যাক কৃষি শ্রমিক নিজ নিজ এলাকা থেকে ট্রাক, ভটভটি ভাড়া করে কাজের সন্ধানে ছুটছেন ওই সব অঞ্চলে। গত এক সপ্তাহে প্রায় ২ হাজার শ্রমিক পাড়ি দিয়েছেন ওই সব জেলায়।
এ বিষয়ে চারঘাট উপজেলার মেরামাতপুর গ্রামের মফিজ উদ্দীন, রতন আলী, হারানসহ বেশ কয়েকজন কৃষি শ্রমিকের সঙ্গে বৃহস্পতিবার কথা হয়।
তারা উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি কর্মকর্তার কাছে অনুমতি নিয়ে নাটোর জেলার সিংড়া এলাকায় ধান কাটার কাজে যাবেন।
এ সময় তারা বলেন, এখন আমাদের এলাকায় কাজ নেই। এ ছাড়া করোনাভাইরাসের কারণে ঘর থেকে বের হওয়া নিষেধ। এরমধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা ধান কাটার কাজে যাব। তা ই আমাদের রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনের এমপি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রশাসনকে বলে দিয়েছেন। আমরা অনুমতি নিতে এসেছি। আগামীকাল একসঙ্গে ভটভটি ভাড়া করে প্রায় ৩০ জনের একটি দল ওই এলাকায় যাব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মুহাম্মদ মুনজুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যেই আমার কাছে ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে থেকে প্রায় ২ হাজার ধান কাটা কৃষি শ্রমিক অনুমতি নিয়েছে। অনুমতি নিয়ে অনেকেই তারা একসঙ্গে ২০-৪০ জনের দল করে গাড়ি ভাড়া করে চলে গেছে।
এ বিষয়ে চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সামিরা জানান, ইতিমধ্যেই অনেক ধান কাটার শ্রমিক অনুমতি নিয়ে গেছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হয়েছে।
No comments