রাজশাহীতে অবৈধ পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ৪টি ভেকু মেশিন অকেজো ও ৮টি ব্যাট
পবা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর পবা উপজেলায় মেজভালাম গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা রাজু ও সোনার পাড়া গ্রামের ইটভাটা মালিক শহিদুল নামের দুইজন প্রভাবশালী ব্যক্তির অবৈধভাবে পুকুর খনন করার সময় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় অকেজো করা হয়েছে ৪টি ভেকু মেশিন। ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে মেশিনের ৮টি ব্যাটারী। এ সময় রাজু নামের পুকুর খননকারীকে ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
রাজশাহীর পবা উপজেলায় মেজভালাম গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা রাজু ও সোনার পাড়া গ্রামের ইটভাটা মালিক শহিদুল নামের দুইজন প্রভাবশালী ব্যক্তির অবৈধভাবে পুকুর খনন করার সময় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় অকেজো করা হয়েছে ৪টি ভেকু মেশিন। ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে মেশিনের ৮টি ব্যাটারী। এ সময় রাজু নামের পুকুর খননকারীকে ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
সোমবার দুপুর সাড়ে ২টার দিকে পবা উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালত এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল মালেক।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল মালেক সাংবাদিকদের বলেন, যে সকল ব্যক্তিরা পুকুর খননের জন্য ফসলি জমি লিজ দেবে। তাদের জমির খাজনা নেয়া বন্ধ করা হবে। পাশাপাশি ওই জমিগুলো খাস খতিযানে অন্তভূক্ত করা হবে।
তিনি আরো বলে অবৈধ পুকুর খননকারী রাজু ও শহিদুল-এর নামে নিয়মিত মামলা করা হবে বলেও জানান এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ।
উল্লেখ্য, গত অনুমানিক ১০দিন যাবত রাতের আধারে চুরি করে তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছিলেন রাজু ও শহিদুল অসাধু দুই নেতা। এনিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়। পরে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচর হলে। আজ সোমবার দুপুর দুইটা থেকে ৪টা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয় ওই সকল স্থানে। ফলে রক্ষা পায় ফসলি জমি।
এদিকে, পুকুর খনন বন্ধে অভিযান হওয়ায়। সন্তোষ প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসীরা। একাধিক গ্রামবাসীরা জানান, যে হারে ফসলি জমিতে ক্ষমতাসিন দলের নেতারা পুকুর খনন শুরু করেছেন। তাতে অচিরেই ফুরিয়ে আসবে ফসলি জমি। বেকার হবে কৃষক। টাকার পাহাড় গড়বে নেতারা। তারা ব্যঙ্গ করে বলেন, ফসলি জমি শেষ হলে নেতারা ভাত খাওয়া ছেড়ে দেবেন। শুধু মাছ খেয়ে বেঁচে থাকবেন।
No comments