Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    একযুগ পরও বেদখল হওয়া ভুমি ফেরত পাননি মোংলার মুক্তিযোদ্ধা সোবহান হাওলাদার


    বাগেরহাট :
    মোংলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাসিন্ধা,১৯৭১ সালের রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা ও অবসর প্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মোঃ আঃ সোবাহান হাওলাদারের পৈত্রিক মালিকানা ভুমি দির্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দখল করে রাখার অভিযোগ স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। ২০০৯ সালে দখল হওয়া ওই ভুমি ফেরত পেতে প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করে, আর সমাজপতিদের ধারে ধারে গুরেও পাননি কোন প্রতিকার। উল্টো মুক্তিযোদ্ধার মায়ের কবরে আগুন দিয়েছে দখলদাররা এমন অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধা সোবহান হাওলাদারের।
    অভিযোগ সুত্রে জানাযায়,২০০৯ সালের ১৮ জানুয়ারী সুন্দরবন ইউনিয়নের ৪ নং ওয়াডে পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া  মুক্তিযোদ্ধা সোবহান হাওলাদারের একটি চিংড়ি ঘের ও বসতভিটা দখল করেন একই এলাকার রোকা মিয়া হাওলাদার, সেলিম হাওলাদার,ও হালিম হাওলাদার। এর পর বসত ঘরে অবস্থান করা তার স্ত্রী কে জোর পূর্বক তাড়িয়ে দেয় দখলদাররা।
    মুক্তিযোদ্ধা আঃ সোবাহান হাওলাদার জানান,দেশ স্বাধীন করার জন্য তিনি জীবন বাজি রেখে পাক সেনাদের সাথে যুদ্ধ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাক্ষরিত সনদে তিনি ভাতা পেয়ে আসছেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর স্কুল শিক্ষক হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করে। কিন্তু স্বাধীন দেশে আজ তিনি পরাধিন। নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি একযুগেরেও বেশি সময় ধরে দখল করে নিয়েছেন প্রভাবশালী একটি গোষ্ঠি। প্রশাসন আর সমাজপতিদের ধারে ধারে ঘুরে তিনি নিজের মালিকানা সম্পতি দখল নিতে পারেন নি। কর্ম জিবন থেকে আবসরে গিয়ে তিনি এখনও থাকতে হচ্ছে পৌর শহরের ভাড়া বাড়িতে। তাই মৃত্যুর আগে মুক্তিযোদ্ধা আঃ সোবাহান পৈত্রিক সম্পতি টুকু নিজ দখলে রেখে যেতে চান।
    তবে এ বিষয়ে বিতরকৃত ওই ভুমিতে দখলে থাকা রোকা মিয়া জানান, মুক্তিযোদ্ধা আঃ সোবাহান হাওলাদার তার চাচাতো ভাই। তিনি কেবল মাত্র তার বাব র ওয়ারিশ সুত্রে পাওয়া মালিকা ভুমি টুকু দখলে রেখেছেন। তবে মুক্তি যোদ্ধার মায়ের কবরে আগুন দেন নি বলে জানান তিনি। #

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728