বাঘায় মারধরের জের ধরে বাড়ি ও দোকানে হামলার অভিযোগ, পুলিশের হস্তক্ষেপে গরু উদ্ধার !
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি ঃ
বাঘায় ঈদের আগের দিন সন্ধ্যায় গালিগালাজ, মারধরের জের ধরে বাড়ি ও দোকানে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বাঘা উপজেলার আলাইপুর মহাজন পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঈদের আগের দিনের ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার (২৬-০৫-২০২০) সন্ধ্যায় আরেক দফায় বাড়ি ও দোকানে হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ঈদের আগের দিন রোববার, সন্ধ্যার আগে আলাইপুর মহাজন পাড়ার মোড়ে মাংস বিক্রির জন্য একাধিক গরু জবাই করে স্থানীয় কসাইরা। রুবেল নামের বহিরাগত এক কসাই সেখানে মাংস বিক্রির জন্য গরু জবাই করতে যায়। এতে বাধ সাধে স্থানীয় খাকছারের ছেলে মিলন। এসময় কসাইয়ের পক্ষ নিয়ে ভোলা নামের একব্যক্তি বর্তমান মেম্বরসহ বিভিন্নজনকে উদ্দেশ্য করে অকঢ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সাবেক মেম্বর মৃত আমিরুলের ছেলে আলো নামের এক ব্যক্তি নিষেধ করায় তাকে মারধর করে ভোলা। এনিয়ে দু’পক্ষের তাড়াহুড়ায় অবিক্রিত মাংস ফেলে পালিয়ে যায় ব্যবসায়ীরা। স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে পরস্থিতি শান্ত হলে কসাইরা ফিরে আসেন।
যার জের ধরে ভোলার চাচা জালাল কোম্পানিকে মারধর করে সাবেক মেম্বর মৃত আমিরুলের আরেক ছেলে রাঙা। তার পক্ষ নেয় মিলন। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেন জালাল কোম্পানী। মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে খাকছারের ছেলে (মিলনের ভাই) মিজানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ চলে আসার পর পরই আলোর পক্ষের লোকজন খাকছারের বাড়িতে ও বাড়ি সংলগ্ন দোকানে হামলা চালিয়ে দোকানের মালামাল লুটপাট করে।
মিলন জানায়,এ সময় হামলাকারিরা বাড়ির ভেতর থেকে গরু ও মোটর সাইকেল নিয়ে গেছে। তাদের মারধরে আলোসহ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে এ দাবি খাকছারের ছেলে মিলনের। অপরদিকে গ্রামের মাতব্বর জালাল কোম্পানী বলেন,তাকে মারধরে ঘটনায় উত্তেজিত লোকজন ১টি গরু নিয়ে এসেছে। সেটি ফেরত দিবেন। মোটরসাইকেল নিয়ে আসার সত্যতা নাই। তবে দ’ুপক্ষের লোকজনই হামলা ভাংচুর করেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। স্থানীয় বর্তমান মেম্বর আমিরুল জানান, কোন কারণ ছাড়াই ভোলা আমাকে সহ অনেককেই গালিগালাজ করেছে। তবে এক পক্ষের বাড়ি, দোকানে হামলা ও লুটপাট হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, দু’পক্ষের লোকজনই দীর্ঘদিন ধরে ফেন্সিডিল কেনা-বেচার সংগে জড়িত রয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন কোন পক্ষের ফেন্সিডিল আটক করলে সন্দেহ করা হয় অপর পক্ষের লোকজনকে। এ নিয়ে অতিতে একাধিকবার তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। কালো টাকার দাপটে তারা কাউকেই পরোয়া করেনা। মামলা হয় ঠিকই। পরে জামিনে এসে আগের অবস্থানেই ফিরে যায়।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম জনান,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেছে। পালানোর সময় মিজানকে আটক করা হয়। পরে জানা গেছে,তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। সেই পরোয়ানায় তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আগের ঘটনায় জালাল কোম্পানীর পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ করেছে। পরের ঘটনায় কোন অভিযোগ করেনি। তবে মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে১টি গরু উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।##
No comments