চারঘাটে আম্পানের তাণ্ডবে আমের ব্যাপক ক্ষতি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে রাজশাহীর চারঘাটের বাগানগুলোর ১০ শতাংশ আম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চারঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুনজুর রহমান। তবে আম চাষী এবং আম ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন ক্ষতির পরিমান স্থান ভেদে ২০ থেকে ৩০ শতাংশও হতে পারে।
জানা যায়, বুধবার সারাদিন হালকা বাতাস ও বৃষ্টি থাকলেও রাত সোয়া ১১টার সময় ব্যাপকভাবে ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হয়। প্রচন্ড ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আম গাছসহ অন্য গাছগুলো ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে হতাহতের কোন খবর না পাওয়া গেলেও বিপুল পরিমান আম ঝড়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
চলতি মৌসুমে উপজেলায় করোনার প্রভাবে আমের বিপর্যয় হলেও কৃষক উপজেলা প্রশাসন ও কৃষিবিভাগের আন্তরিকতায় আমের সঠিক পরিচর্যা করে আম গাছে আম টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছিল তারা। ওই সব আম আর মাত্র কয়েকদিন পরেই নামানোর কথা। কিন্তু গতকাল রাতে আম্পানের তান্ডবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন আম চাষীরা।
ক্ষতির কিছু অংশ
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুনজুর রহমান জানান, উপজেলায় আম ছাড়াও বোরো ধান, ভুট্টা, পেপেসহ অন্যান্য কৃষি ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবছর চারঘাট উপজেলার আম ঝড়ের কবলে তেমন পড়েনি, সেজন্য গাছে পর্যাপ্ত আম ছিল। সে হিসাবে আম্পানের তান্ডবে চারঘাটে আমের ক্ষতি ১০ শতাংশের মত হয়েছে। গাছে এখনো প্রচুর আম রয়েছে। আম চাষীরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে জানান তিনি।
তবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কয়েকজন আমচাষীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, কয়েকদিন পরই যেসব আম পাড়ার কথা ছিল, তা ব্যাপক হারে ঝরে পড়েছে। এলাকাভেদে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ আম নষ্ট হয়ে গেছে।
ভায়ালক্ষীপুর ইউনিয়নের বাঁকড়া এলাকার আম চাষী নুরুল আলম বলেন, গোপালভোগ আম নামানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আজ অথবা আগামীকাল পাড়ার দিনক্ষণও ঠিক করেছিলাম। কিন্তু ঝড়ে গাছ থেকে অর্ধেকের বেশি আম পড়ে গেছে। গাছেও অনেক আম ফেটে ফেটে ঝুলে আছে। আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।
চারঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা সামিরা বলেন, মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমানের জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হবে। অধিক পরিমানে ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
No comments