বাঘায় করোনার মধ্যে কৌশলে মাদক ব্যবসা চলছে
বাঘা প্রতিনিধিঃ
ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে প্রশাসন ব্যাস্ত। আর প্রশাসনের ব্যাস্ততার সুযোগ নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা রাজশাহীর বাঘায় মাদকের বিস্তার ঘটাচ্ছে।
করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনে মাদকের সাথে সম্পৃক্তদের এখন দুঃসময় যাচ্ছে। আমদানি কম থাকায় ৬শ টাকার ফেন্সিডিল এখন বিক্রি হচ্ছে ১৭ শ’ টাকায়।
বাঘায় করোনার মধ্যে কৌশলে মাদক ব্যবসা চলছে
মহামারি ভাইরাস করোনা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বাঘা থানা পুলিশ। রাত-দিন জনগনের সেবায় ব্যস্ত পুলিশ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে বাসায় থাকতে, নিরাপদ থাকতে নিজেকে নিরাপদ রাখতে প্রচারনা চালাচ্ছেন তারা।
আর করোনা এ প্রচেষ্টায় মানুষকে ঘরে রাখতে যখন ব্যাস্ত পুলিশ প্রশাসন তখন এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন বাঘা সীমান্ত এলাকার কিছু মাদক ব্যবসায়ীরা।
নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক সীমান্ত এলাকার একাধিক ব্যাক্তি জানান, করোনার কারনে ভারত এবং বাংলাদেশে দুই দেশেই চলছে লকডাউন।
এজন্য মাদকের সরবারহ কমেছে। কিন্তু মাদকের চাহিদা কমেনি। এজন্য মাদকের দামও গেছে বেড়ে। আগে ফেন্সিডিল বিক্রি হতো ৬শ টাকা,আর এখন বেড়ে ১৭শ টাকা।
তারপরও মাদকসেবীরা ছুটছে সীমান্ত এলাকায়। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বাঘা উপজেলার মধ্যে মনিগ্রাম ইউনিয়নে মাদকের প্রভাব সবচেয়ে বেশি।
হেলালপুর গ্রামের এক সময়ের গডফাদার কালাম মোল্লা না থাকায় তার দুই ভাতিজা রুবেল মোল্লা এবং বুলবুল মোল্লা এখন সক্রিয়।
পার্শ্ববর্তী বারশতদিয়ারের মাদক ব্যবসায়ী মফিজ এবং তার ভাই মনির এখনো বহাল তবিয়তে ব্যবসা করছে।
এছাড়াও ভানুকর গ্রামের হাফিজুল ও রবি এবং আলাইপুরের আলম,নান্টু ইদ্রিশ, মহাসিন, বারি ও মনি এবং পাকুড়িয়া গ্রামের একাধিক মাদক মামলার আসামী শহিদুল ও তার ভাই শরিফুলসহ পাশের এলাকা ক্লিক মোড়ের রাজিব আমিরুল, ধোনা, সাজদার, বজলু, জাব্বার ও রেজাউল বর্তমানে কৌশলে ফেন্সিডিল ও ইয়াবা ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের প্রত্যেকের নামে বাঘাসহ বিভিন্ন থানায় রয়েছে একাধিক মাদক মামলা।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করলেও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান থেমে নেই।
প্রতিনিয়তই আমাদের অভিযান চলমান আছে। করোনার মধ্যেও আমরা অভিযান চালিয়ে মাদক উদ্ধার করেছি। ভবিষতেও আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।
No comments