ছেলের অপরাধে বাবার শাস্তি,মুচলেকায় মুক্তি
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
ফেনসিডিল রাখার গোপন সংবাদে রাজশাহীর বাঘা সীমান্ত এলাকার আলাইপুর গাবতলি পাড়ার এক বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সেই বাড়ির সদস্য ঝন্টুকে না পেয়ে তার বাবাকে মারধর করে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজিবির বিরুদ্ধে। সেখানে গিয়ে ঝন্টুর বাবা আকরামের সাথে কথা কাটাকাটি হয় মীরগঞ্জ বিজিবির সদস্যদের।এক পর্যায়ে ঝন্টুর বাবা আকরামকে মারধর করে ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায় বিজিবি। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেরাজ সরকারের মধ্যস্থতায় মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পায় আকরাম। এদিন বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মীরগঞ্জ ক্যাম্পের বিজিবি’র একটি দল উপজেলার সীমান্ত এলাকার আলাইপুর গাবতলী পাড়ার আকরামের বাড়িতে অভিযান চালায় বলে জানা গেছে। পরিবারের দাবি এ সময় বাড়িতে ছিল না ঝন্টু ।আকরামের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রোকসানা জানান, বিজিবির তিনজন সদস্য বাড়ির সামনে এসে ঝন্টুর জিজ্ঞেস করে । কেন তার খোঁজ করছেন এ কথা জানতে চাই করছেন ঝন্টুর বাবা আকরাম । এব পর্যায়ে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে তল্লাশি চালায় বিজিবি। তল্লাশির বিষয় জানতে গিয়ে বিজিবির সদস্যর সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে মারধর করে। বাবাকে মারধরের খবর পেয়ে ছুটে আসে ঝন্টু। পরে বিজিবির সদস্যদের সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ধ্বস্তাধ্বস্তির ঘটনা ঘটে। এ খবর পেয়ে মীরগঞ্জ ও আলাইপুর থেকে সেখানে ছুটে যান বিজিবির সদস্যরা। এক পর্যায়ে পালিয়ে আতœরক্ষা করে ঝন্টু। পরে তার বাবা আকরামকে মীরগঞ্জ বিজিবি ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পাশের বাড়ির আলতাফ হোসেন ও খায়রুর ইসলাম জানান,বিজিবির সদস্যদের মহড়ায় সেখানে কেউ যেতে পারেনি। সেদিন বাড়ি তল্লাশি করে বেআইনি কোন মালামাল পাইনি। তবে ঝন্টু ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা কেউ কেউ। এর আগেও বাড়ি তল্লাশি করাকে কেন্দ্র করে বিজিবির সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিল। বর্তমানে বিজিবির তৎপরতায় সীমান্ত এলাকায় মাদক ব্যবসা কমেছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
এদিকে সরকারি কাজে বাধা দিয়ে বিজিবির উপর অতর্কিত হামলার দাবি করে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোর্সের মাধ্যমে তথ্য পেয়ে তার বাড়ি তল্লাশি করতে যায় বিজিবি সদস্যরা। মীরগঞ্জ বিজিবি ক্যাম্পের ইনচার্জ বলেন, বিজিবির কাছ থেকে ওয়ারলেস সেট ও তিনটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় তারা। তবে পরে সেগুলো ফেরত দিয়েছে।
হাবিলদার আলাউদ্দিন বলেন, স্থানীয়দের অনুরোধে বিষয়টি মিটিয়ে নিয়েছি। তবে মাদক ও চোরাকারবারিদের সাথে কোন াাপোষ নেই। পাকুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ বলেন, কাজটি ঠিক করেনি ঝন্টু। তবে ছেলের অপরাধে বাবাকে শাস্তি দেয়ার বিষয়টিও অনাকাঙ্কিত। তবে মুচলেকা দিয়ে তাকে ছেড়ে নেওয়া হয়েছে। এধরনের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।##
No comments