Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    মোহনপুর কেশরহাটে মাকে খুটিতে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ

    www.Rajshahirdorpon24.com

    মোহনপুর প্রতিনিধি:
    ঘরের সাথে খড়িখড় রাখতে বারণ করায় গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাশুড়িকে খুটির সাথে বেধে রাখেন পুত্রবধূ ও নির্যাতন করেন ছেলে। এমন নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে আসায় মারধর করা হয় ছোটবোনকেও।

    রাজশাহীর মোহনপুর কেশরহাট পৌরসভার বিশালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কাচাবাড়ীর ঘরের সাথে ছেলের বৌকে খড়িখড় রাখতে বারণ করায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাশুড়িকে খুটির সাথে বেধে রাখেন পুত্রবধূ ও নির্যাতন করেন ছেলে এমন অভিযোগ উঠেছে ছেলে কামরুল ও ছেলের বউ রুনা খাতুন বিরুদ্ধে।

    নির্যাতনের শিকার নুরজাহান বেগম (৫৫) ও মেয়ে বিউটি খাতুন (২৪) শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

    নির্যাতনের শিকার নুরজাহান বেগম জানান, ছেলের বৌ রুনা খাতুন তার বিরুদ্ধে ছেলে কামরুলকে সবসময় বিভিন্ন রকম কানকথা বলে তার মাকে বাড়ী থেকে তাড়ানোর চেষ্টায় লিপ্ত আছেন। নির্যাতিতার স্বামী আলিমুদ্দিন ছেলে ও ছেলের বৌকে এ বিষয়ে একাধিকবার বাধা নিষেধ করেও কোন লাভ হয়নি ।

    কামরুল (৩৫) ও তার স্ত্রী রুনা (৩০) মিলে একাধিকবার নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন নুরজাহান বেগম। ঈদুল ফিতরের আগের দিনও তার উপর নির্যাতন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করে দেয় গ্রামের মোড়লরা ।

    তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার বেলা ২ টার সময় ঘরের সাথে ছেলের বৌকে খড়িখড় রাখতে বারণ করায় গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাশুড়িকে খুটিতে বেধে রাখেন পুত্রবধু রুনা। আর নির্যাতন করেন ছেলে কামরুল । মাকে বাঁচাতে মেয়ে এগিয়ে আসলে তাকেও লাঠি পেটা করা হয়। মারধর করার কারণে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছেলা ফুলা জখম হয়েছে । খবর পেয়ে স্থানীয়রা মা ও মেয়ে উদ্ধার করে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে কর্তব্যরত ডাক্তার।

    নুরজাহানের বড় মেয়ে নার্গিস বেগম জানান, তার মাকে প্রায়ই মারপিট করে কামরুল ও তার স্ত্রী। এ ব্যাপারে শুধু নার্গিসই নয় গ্রামের অনেকেই এই নির্যাতনের কথা তুলে ধরে পাষন্ড কামরুল ও তার স্ত্রীর দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী জানান।

    নুরজাহান বেগমের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে নির্যাতনের কথা জানিয়ে বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে ওরা আমাকে মারধর করে। আমি এর বিচার চাই।

    এ ব্যাপারে মোহনপুর থানার কর্মকর্তা ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।##

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728