Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    হঠাৎ বেড়ে যাওয়া চালের দাম কিছুটা কমেছে||rajshahirdorpon24

    হঠাৎ বেড়ে যাওয়া চালের দাম কিছুটা কমেছে||rajshahirdorpon24

    নিউজ ডেস্ক:
    ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চল লকডাউনের গুঞ্জনে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া চালের দাম কিছুটা কমেছে। সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা কমেছে। চাহিদা কমায় এই দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

    মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে ৬৬ দিন সরাদেশে লকডাউন জারি রাখার পর গত ৩১ মে থেকে বেশিরভাগ বিধি-নিষেধ তুলে নেয়া হয়। তবে এরপর প্রতিদিন করোনার সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে থাকায় করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার অনুযায়ী লাল, সবুজ ও হলুদ জোনে ভাগ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়। লাল বা ‘রেড জোন’-কে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে ঢাকার ৪৫ এলাকাকে রেড জান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শিগগির এসব এলাকা লকডাউন করা হবে। এমন গুঞ্জনে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে হুট করে বেড়ে যায় চালের দাম।
    ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় রেড জোন চিহ্নিত করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে রাজধানী ঢাকার রাজাবাজার রেড জোন চিহ্নিত করে পরীক্ষামূলক লকডাউন করা হলেও রাজধানীর অন্য অঞ্চল এখনো লকডাউন করা হয়নি।

    এদিকে লকডাউনের গুঞ্জনে কিছু ক্রেতা বাড়তি চাল কেনায় এখন চালের চাহিদা কিছুটা কমেছে। অন্যদিকে বাজারে নতুন চালের সরবরাহ বেড়েছে। সবমিলিয়ে গত দুইদিনে চালের দাম কিছুটা কমেছে।
    শনিবার (২৭ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা কেজি। মাঝারি মানের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, যা আগে ছিল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। আর মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৪০ টাকা, যা আগে ছিল ৩৮ থেকে ৪২ টাকা।

    এদিকে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনেও চিকন ও মাঝারি চালের দাম কমার তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, চিকন চালের দাম ৪ দশমিক ১০ শতাংশ ও মাঝারি চালের দাম ৩ শতাংশ কমেছে। তব মোটা চলের দাম ৩ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়েছে।

    টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, খুচরা বাজারে মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৬৫ টাকা, যা আগে ছিল ৫৪ থেকে ৬৮ টাকা। মাঝারি মানের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫২ টাকা, যা আগে ছিল ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। এক মাস আগে ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। আর ৩৮ থেকে ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মোটা চালের দাম বেড়ে ৩৮ থেকে ৪৮ টাকা হয়েছে।

    খিলগাঁও তালতলার চাল ব্যবসায়ী জানে আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার শুরুতেই চাল বিক্রি বেড়ে যায়। এতে দামও বাড়ে। এরপর বিক্রি কমলে মাঝে দাম কিছুটা কমে। তবে রোজার আগে আবার চালের চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়ে যায়। নতুন চাল আসায় ঈদের পর আবার দাম কমে। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে আবার চালের দাম বেড়ে যায়। এখন চাহিদা কমায় আবার চালের দাম কমেছে। এখন ব্যবসায় মন্দা চলছে। দুদিন ধরে তেমন একটা বিক্রি করতে পারিনি।’

    রামপুরার ব্যবসায়ী তারেক বলেন, ‘সপ্তাহ দুই আগে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছিল। তবে এখন আবার মিনিকেট, নাজির, পাইজাম ও লতা চালের দাম কমেছে। ৫৮ টাকা কেজি বিক্রি করা মিনিকেট চাল এখন ৫৫ টাকা কেজি বিক্রি করছি। আটাশ চালের দামও কেজিতে ২-৩ টাকা কমেছে। আমাদের ধারণা, বাজারে নতুন চালের সরবরাহ বাড়ায় এই দাম কমেছে। এখন বন্যার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে চালের দাম আবার বেড়ে যেতে পারে।’##

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728