সেক্সগার্ল ট্যাপ’ চক্রের সাত সদস্য গ্রেপ্তার
সেক্সগার্ল ট্যাপ’ চক্রের সাত সদস্য গ্রেপ্তার |
নিউজ ডেস্ক:
সিএনজি বসে অথবা পাশে দাঁড়িয়ে আছে এক বা দুই সুন্দরী নারী। যাত্রী হিসেবে অন্য কেউ ঐ নারীর সহযাত্রী হতে চাইলেই ফেঁসেছে। যাত্রীবেশি সুন্দরী নারীর অন্য সহযোগিরা এসে ঐ ব্যক্তিকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে প্রথমে জিম্মি করে। পরে তাদের আস্তানায় নিয়ে গিয়ে সুন্দরীদের সাথে বিবস্ত্র ছবি তুলে ব্লাকমেইল করে। বগুড়া পুলিশ জেলার শিবগঞ্জ থেকে এ ধরনের একটি চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার চক্রের সদস্যরা তাদের নানা অপকর্মের বর্ননা দিয়ে আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
পুলিশ জানায়, এই ‘সেক্সগার্ল ট্যাপ’ চক্র বগুড়া শহরে একাধিক রয়েছে। বিভিন্ন সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছে একাধিক চক্র। তবে উপজেলা পর্যায়ে এ ধরনের চক্রের দেখা মিললো এবারই প্রথম। ১৫ জনের এই দলে কমপক্ষে ৫ জন সুন্দরী মহিলা রয়েছে। এরা টার্গেট করা ব্যক্তিকে ব্লাকমেইল করতে টোপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বগুড়া শিবগঞ্জে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে অভিনব কায়দায় ব্লাকমেইল করার পর ধরা পড়ে এই চক্রের সাত সদস্য। উপজেলা সদরের নাগর বন্দর এলাকার নাটমরিচাই গ্রামের একটি বাসা ছিলো এই চক্রের সদস্যদের আস্তানা। খাদ্য কর্মকর্তাকে একই কায়দায় ব্লাক মেইল করার পর বুধবার ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ এই চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে।
ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, খাদ্য কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন সরকারের থেকে এই চক্র ৫০ হাজার টাকা ও একটি চেক হাতিয়ে নেয়। বিষয়টি তিনি রাতেই এসে থানায় জানালে পুলিশ অভিযান শুরু করে। ঘটনার পর ছিনতাইকারীদের দেওয়া বিকাশ ফোন নাম্বারের সূত্র ধরে সারারাত অভিযান চালিয়ে ভোর রাতে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
https://www.rajshahirdorpon24.com/?m=1
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, শিবগঞ্জের নাটমরিচাই গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে মাসুদ রানা (২৬), একই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে শাকিল আহম্মেদ, মীরের চক গ্রামের লেবু ড্রাইভারের ছেলে বিপুল আকন্দ (৩০), সংসারদিঘী গ্রামের নাছের উদ্দিনের দুই স্ত্রী তানজিলা বেগম (২৬) ও মাহফুজা বেগম (৩৫), নাটমরিচাই গ্রামের দুলু মিয়ার মেয়ে সাথী বেগম (৩৫), সংসারদিঘী পশ্চিম পাড়া গ্রামের সোহরাবের ছেলে মেহেদী হাসান (২৫)।
শিবগঞ্জ সার্কেল এর সহকারি পুলিশ সুপার কুদরত-ই-খোদা শুভ জানান, অভিযোগ পাবার পর পুলিশ ৪ ভাগে বিভিক্ত হয়ে সারারাত অভিযান চালিয়ে ১০ ঘণ্টার ব্যবধানে এ চক্রের ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত প্রত্যেকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। বৃহস্পতিবার আসামিরা আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, সুন্দরী নারী দিয়ে ব্লাকমেইল করার একাধিক চক্র রয়েছে। পুলিশের ভয়ে এরা বিভিন্ন উপাই বের করে তাদের কাজ চালিয়ে যায়। অনেকে লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়গুলো থানায় অবগত করে না। যার কারনে বেশির বাগ ঘটনাই থেকে যায় অজ্ঞাত। এখন তদন্ত করলে আরো অনেক সুত্রই মিলবে।##
No comments