চারঘাটে পদ্মার ভাঙনে হুমকির মুখে মসজিদসহ জনবসতি||rajshahirdorpon24
চারঘাটে পদ্মার ভাঙনে হুমকির মুখে মসজিদসহ জনবসতি||rajshahirdorpon24 |
নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত কয়েকদিন ধরে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার রাওথা গ্রামের মানুষ তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছেন। ধসে পড়ছে চাপ চাপ মাটি। এর ফলে তীরবর্তী গ্রামে বসবাসকারী মানুষ এখন চরম দুর্দিন পার করছেন।
ভাঙনের মুখে নদী গর্ভে বসতভিটা ও জমিজমা হারানোর আশঙ্কায় নদীর পাড়ের মানুষদের কাটছে নির্ঘুম রাত।
এতে হুমকির মুখে রয়েছে রাওথা এলাকার প্রায় ৪০ বছর আগের পুরনো মসজিদসহ বেশ কয়েকটি পাড়া-মহল্লা। এছাড়াও একেবারে পদ্মার নিকটবর্তী জায়গায় রয়েছে পিরোজপুর (২) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
নদী ভাঙন এলাকার বাসিন্দা মোস্তফা আলী জানান, ১৯৮৮ সাল থেকে একের পর এক বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি নদী গর্ভে হারিয়ে যাওয়ায় এ এলাকার মানুষ আজ নিঃস্ব। সবকিছু হারিয়ে তারা এখন পথের ভিখেরি।
আরেক বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম জানান, ১৯৮৮ সালের বন্যায় শুরু হওয়া ভাঙন এখন এলাকাবাসীর নিত্য সমস্যা। বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব সবাই।
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, বন্যার সময় হলেই এলাকায় দেখা মেলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজনদের। এর আগে তারা কোনো দিনই আসেন না ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে। বছরের পর বছর ধরে ভাঙন অব্যাহত থাকলেও ভাঙন প্রতিরোধে নেয়া হয়নি কার্যকর ব্যবস্থা।
ওই এলাকার রফিকুল, মোমিন, রবিউলসহ নদীর তীরের একাধিক অধিবাসী জানান, গত কয়েক দিন ধরে পদ্মায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাঙতে শুরু করেছে পদ্মারপাড়। ভাঙন রোধে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে মসজিদ, বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কোহিনুর আলম বলেন, রাওথা এলাকায় উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রয়েছে। যেখানে নদীর পাড় ভাঙছে সেখানে নকশার কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিকাদার নিয়োগ করে নদী ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।##
No comments