রাজশাহী বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৩৭ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত ||rajshahirdorpon24
রাজশাহী বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৩৭ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত ||rajshahirdorpon24 |
নিউজ ডেস্ক:
রাজশাহী বিভাগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ বিভাগের গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৩৭ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ দিন কেউ মারা যাননি। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৬ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী। সোমবার দুপুরে এক প্রতিবেদনে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তারের পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্তদের মধ্যে রাজশাহীর ৯ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন নওগাঁয় ২২ জন, বগুড়ায় ১৮৬ জন, সিরাজগঞ্জে ৮ জন ও পাবনায় ১১ জন। তবে বিভাগের অপর দুই জেলা নাটোর ও জয়পুরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন রোগি শনাক্ত হয়নি বলে তিনি জানান।
ডা. গোপেন্দ্র আরও জানান, রাজশাহী বিভাগে এ পর্যন্ত দুই হাজার ৫০৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ মধ্যে সর্বোচ্চ বগুড়ায় এক হাজার ৩৭৭ জন আক্রান্ত। এছাড়াও রাজশাহীতে ১৩৬ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৮০ জন, নওগাঁয় ২২০ জন, নাটোরে ৮১ জন, জয়পুরহাটে ২৩০ জন, সিরাজগঞ্জে ১৮৩ জন ও পাবনায় ২০১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আরো পড়ুন: জয়পুরহাটের জজ করোনায় আক্রান্ত : জ্বর-সর্দি নিয়ে এসেছিলেন
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলার মধ্যে ছয় জেলায় মৃতের সংখ্যা ৩০ জন। এখনো জয়পুরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোন করোনা আক্রান্ত রোগি মারা যায়নি। এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে তিনজন, নওগাঁয় তিনজন, নাটোরে একজন, বগুড়ায় ১৫ জন, সিরাজগঞ্জে তিনজন ও পাবনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে।
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন আরও ৫৬ জন। এ নিয়ে বিভাগে সুস্থ্য হয়েছেন ৫৩৭ জন করোনা আক্রান্ত রোগি। এর মধ্যে রাজশাহীর ৩৩, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪৭ জন, নওগাঁয় ১২৮ জন, নাটোরে ৪৭ জন, জয়পুরহাট ১১৭ জন, বগুড়ায় ১৩১ জন, সিরাজগঞ্জ ১৬ জন ও পাবনায় ১৮ জন।
ডা. গোপেন্দ্র নাথ বলেন, রাজশাহী বিভাগে চারটি ল্যাবে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। এর মধ্যে সরকারিভাবে তিনটি ও বেসরকারি একটি। এর মধ্যে রাজশাহীতে দুইটি ও বগুড়ায় একটি সরকারি। বেসরকারি ল্যাব বগুড়ায়। এছাড়াও অতিরিক্ত নমুনাগুলো ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। প্রতিদিন নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা বাড়ছে। তার সঙ্গে বাড়ছে করোনা সংক্রমনের সংখ্যাও।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। প্রয়োজনে বের হলে মাস্ক পরতে হবে। এছাড়াও সামাজিক দুরত্ব রাখাসহ মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। তবেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।##
No comments