সাবেক স্বামীর সঙ্গে কথা বলাই কাল হলো রাজিয়ার||rajshahirdorpon24
সাবেক স্বামীর সঙ্গে কথা বলাই কাল হলো রাজিয়ার||rajshahirdorpon24 |
নিউজ ডেস্ক:
সাবেক স্বামীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার কারণে স্ত্রী রাজিয়া খাতুনকে হত্যা করেন বর্তমান স্বামী শহিদ বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) যশোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন ঘাতক শহিদ বিশ্বাস। আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম জবানবন্দী গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
শহিদ বিশ্বাস যশোর সদরের পাগলাদহ গ্রামের মোজাহার বিশ্বাসের ছেলে ও জহুরপুর মেসার্স লস্কর ব্রিকসের শ্রমিক। গত ১৬ জুন ভোরে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরার জহুরপুরে ইটভাটার শ্রমিক রাজিয়া খাতুন খুন হন। তার স্বামী শহিদ বিশ্বাস তাকে খুন করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি শহিদ বিশ্বাস স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন- তিনি ওয়েল্ডিং শপে কাজ করতেন। তার আগের স্ত্রী-সন্তান আছে। বেশ কয়েক মাস আগে ঝিকরগাছা উপজেলার গৃহবধূ ইটভাটা শ্রমিক রাজিয়ার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিন মাস আগে রাজিয়াকে বিয়ে করেন। পরে জহুরপুর মেসার্স লস্কার ইটভাটায় কাজ নিয়ে দুজন সেখানেই থাকতেন। কিছুদিন যেতে না যেতেই রাজিয়া তার সাবেক স্বামীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলা শুরু করেন। শহিদ বিশ্বাস বিষয়টি জানতে পেরে সাবেক স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করেন রাজিয়াকে।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। গত ১৫ জুন রাতে রাজিয়া মোবাইল ফোনে তার সাবেক স্বামীর সঙ্গে কথা বলার সময় শহিদ টের পেয়ে যান। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শহিদ তাকে মারপিট করেন। এরপর রাজিয়া বটি দিয়ে শহিদকে কয়েকটি কোপ দেয়। গভীর রাতে রাজিয়া আবারও তার সাবেক স্বামীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। এ সময় শহিদ বুঝতে পেরে বাঁশের লাঠি দিয়ে রাজিয়াকে বেদম মরপিট করেন। রাজিয়া ঘরের বাইরে একটি গাছে গোড়ায় বসে ছিলেন। কিছু সময় পরে গিয়ে দেখেন রাজিয়া মারা গেছেন।
এদিকে রাজিয়াকে হত্যার অভিযোগে তার বাবা মণিরামপুরের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা জালাল মোড়ল বাদী হয়ে বাঘারপাড়া থানায় অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ নিহতের স্বামী শহিদকে আটকের পর বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করেন। আদালতে স্ত্রী রিজিয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দেন শহিদ।
বাঘারপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আল মামুন জানান, ঘাতক স্বামী শহিদ বিশ্বাস আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।##
No comments