Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    ‘আমরাও যেন যুদ্ধজাহাজ তৈরি করতে পারি, সেভাবে কাজ করতে হবে’।। rajshahirdorpon24

    আমরাও যেন যুদ্ধজাহাজ তৈরি করতে পারি, সেভাবে কাজ করতে হবে’।। rajshahirdorpon24

    নিউজ ডেস্ক :
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নৌবাহিনীকে আরও আধুনিক ও শক্তিশালী হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। আমরা আরও সুযোগ-সুবিধা দেব। বিশ্বের উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নৌবাহিনীর সদস্যদের টেকনোলজি জানতে হবে।

    তিনি বলেন, আগামীতে আমরাও যেন এমন যুদ্ধজাহাজ তৈরি করতে পারি সে চিন্তা আমাদের করতে হবে। এছাড়া আমাদের নিজেদের প্রয়োজন ছাড়াও এ ধরনের জাহাজ যেন আমরা বিদেশে রফতানি করতে পারি সেভাবে কাজ করতে হবে।

    বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বানৌজা ‘সংগ্রাম’র কমিশনিং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

    সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ‌্যমে বানৌজা ‘সংগ্রাম’র কমিশনিং করেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল, আমাদের প্রবৃদ্ধি ক্রমান্বয়ে বাড়ছিল, কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য শক্তি এসে সব উন্নয়ন অগ্রগতি স্তব্ধ করে দিয়েছে। উন্নত ও খুব শক্তিশালী এবং অতি দরিদ্র সবার একই অবস্থা সৃষ্টি করেছে এই অদৃশ্য শক্তি। এর বিরুদ্ধে কেউ লড়তে পারছে না। তিনি নৌবাহিনীর সব সদস্যকে সুরক্ষিত থেকে তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই। সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয় । বঙ্গবন্ধুর এই নীতিতে আমরা বিশ্বাসী।

    শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি। সমুদ্র সম্পদকে কাজে লাগিয়ে আমরা দেশের উন্নয়ন করতে চাই। তিনি আশা করেন এ ক্ষেত্রে নৌবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    সূত্র জানিয়েছে, চীনে তৈরি বানৌজা ‘সংগ্রাম’র দৈর্ঘ্য ৯০ মিটার এবং প্রস্থ ১১ মিটার। এটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম। শত্রু বিমান, জাহাজ এবং স্থাপনায় আঘাত হানতে সক্ষম জাহাজটি আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন কামান, ভূমি থেকে আকাশে এবং ভূমি থেকে ভূমিতে উৎক্ষেপণযোগ্য মিসাইল, অত্যাধুনিক থ্রিডি রাডার, ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম, রাডার জ্যামিং সিস্টেমসহ বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জামাদিতে সুসজ্জিত।

    জাহাজটিতে হেলিকপ্টার অবতরণ ও উড্ডয়নের জন্য ডেক ল্যান্ডিংসহ অন্যান্য সুবিধাদি রয়েছে।

    গভীর সমুদ্রে দীর্ঘ সময়ব্যাপী মোতায়েনযোগ্য এ জাহাজর মাধ্যমে বিশাল সমুদ্র এলাকায় অনুপ্রবেশ ঠেকানো, চোরাচালান ও জলদস্যুতা রোধ, সমুদ্রে উদ্ধার তৎপরতা, সমুদ্র অর্থনীতির বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনাসহ মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার পাশাপাশি তেল, গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য বরাদ্দকৃত ব্লকসমূহের অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

    ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারই অংশ হিসেবে নৌবহরে যুক্ত হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি ও যুদ্ধ সরঞ্জামে সজ্জিত আধুনিক যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন, হেলিকপ্টার ও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট। নৌবহরের সক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে যুদ্ধজাহাজ ‘সংগ্রাম’ নৌবাহিনীর বহরে যুক্ত হচ্ছে।##

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728