বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি : জীবিত উদ্ধার হওয়া যাত্রীর বর্ণনা||rajshahirdorpon24
বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি : জীবিত উদ্ধার হওয়া যাত্রীর বর্ণনা||rajshahirdorpon24 |
নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে এখনও জনমনে প্রশ্ন রয়েছে, কীভাবে লঞ্চটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ল? এ বিষয়ে ডুবে যাওয়া লঞ্চের জীবিত উদ্ধার হওয়া যাত্রী মো. মাসুদ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঘাটে ভেড়ার জন্য আমাদের লঞ্চ (মর্নিং বার্ড) সোজা আসছিল। অন্য একটা লঞ্চ ত্যাছড়াভাবে (বাঁকা) রওনা দিয়েছে। ত্যাছড়াভাবে রওনা দেয়াতে ওই লঞ্চটা ধাক্কা দিয়েছে আমাদের লঞ্চের মাঝে। ধাক্কা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চটা কাইত হয়ে ডুবে গেছে। তলায় যেতে ১০ সেকেন্ডও সময় নেয়নি।’
নিজের অবস্থান বর্ণনা দিয়ে ওই যাত্রী বলেন, ‘আমি কেবিনে ছিলাম। গ্লাস খুলে আমি বের হইছি। ভেতরে আমার আপন দুই মামা ছিলেন। তারা তো বের হতে পারেননি। তাদের খোঁজ করছি।’ তার নিখোঁজ থাকা দুই মামা হলেন- আফজাল শেখ ও বাচ্চু শেখ।
দুই মামার খোঁজে সদরঘাটের জেটিতে অবস্থান করা মো. মাসুদ জাগো নিউজকে জানান, রাজধানীর ইসলামপুরের গুলশানআরা সিটিতে কাপড়ের ব্যবসা করেন তিনি।
প্রতিদিন তিনি সকালে মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসে কাপড়ের দোকান করেন। গতকাল রোববার (২৮ জুন) ময়মনসিংহ থেকে তার দুই মামা তাদের মুন্সিগঞ্জের বাসায় বেড়াতে যান। তাদের নিয়ে আজ সকালে লঞ্চের একটি কেবিনে করে ঢাকায় ফিরছিলেন। কিন্তু লঞ্চ পাড়ে ভেড়ার আগে মুহূর্তেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর লঞ্চে থাকা প্রায় ৫০ জনের মতো যাত্রী আমরা সাঁতরে পাড়ে উঠতে পারছি। বাকি যাত্রী কেউ উঠতে পারেনি। তারা লঞ্চের ভেতরেই ছিলেন। আমরা প্রায় ১৫০ জনের মতো লোক ছিলাম।’##
No comments