Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    করোনার বিস্তার রোধে তামাকজাত দ্রব্যের নিয়ন্ত্রণ জরুরি,এমপি বাদশা||rajshahirdorpon24

    ফাইল ফটো

    নিজস্ব প্রতিবেদক : 
    ধূমপায়ীদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি অনেকগুণ বেশি। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি, অবিলম্বে তামাকজাত দ্রব্য ক্রয়-ক্ষমতার বাহিরে এবং হাতের নাগাল থেকে দূরে রাখার ব্যবস্থা করুন। তাহলে এই মহামারিতে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকবে।’

    বুধবার (১০ জুন) এক সাক্ষাতকারে রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ দাবি জানান। এ সময় তামাকের প্রতি ধূমপায়ীদের নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে আসন্ন ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে উচ্চহারে তামাকের কর ও দাম বৃদ্ধির দাবিতে অর্থমন্ত্রী বরাবর ডিও লেটার পাঠিয়েছেন তিনি।

    এমপি বাদশা বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে- ধূমপানের কারণে শ্বাসতন্ত্র এবং বক্ষের নানা সংক্রমণ এবং শ্বাসজনিত রোগ তীব্র হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়া অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের কোভিড-১৯ সংক্রমণে মারাত্মকভাবে অসুস্থ্য হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই করোনাকালীন তামাক বর্জন করার উপযুক্ত সময়। ধূমপান ত্যাগ করলে ফুসফুসের কার্যকারিতা তুলনামূলকভাবে দ্রুত উন্নতি করে (কয়েকমাসের মধ্যে), যা শ্বাসকষ্টজনিত অসুবিধাগুলির সংবেদনশীলতা হ্রাস করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং আরও অনেক উপকার করে করে যা সরাসরি কোভিড-১৯ এর সাথে সম্পৃক্ত না।’

    তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন অস্বাভাবিকহারে বাড়ছে। এখনই উপযুক্ত সময় সরকার এবং সংশ্লিষ্ট নীতি-নির্ধারকদের তামাক নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করার, বিশেষত জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় সীমিত করা, তামাকের কর বৃদ্ধি করা এবং তামাক নিবৃত্তকরণ পরিসেবাসমূহের উন্নয়ন বৃদ্ধি করা। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণে এ ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ সময়ের দাবি রাখে।’

    এছাড়া ডিও লেটাওে এমপি বাদশা তামাকের প্রতি ধূমপায়ীদের নিরুতসাহিত করতে উচ্চহারে তামাকের কর বৃদ্ধির দাবি জানান। ডিও লেটারে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সিগারেটের ৪টি মূল্য স্তর রয়েছে। এই চারটি মূল্যস্তর থেকে কমিয়ে দুটিতে নিয়ে আসতে হবে। বিড়ির ফিল্টার এবং নন-ফিল্টার মূল্য বিভাজন তুলে দেয়া, ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের (জর্দা ও গুল) মূল্য বৃদ্ধি করা, একটি সহজ এবং কার্যকর তামাক শুল্কনীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা, যা তামাকের ব্যবহার হ্রাস এবং রাজস্ব বৃদ্ধিতে ভ‚মিকা রাখবে। সকল তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বহাল রাখারও দাবি জানান।

    তিনি উল্লেখ করেন, এই তামাক কর ও দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে প্রায় ২০ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ী ধূমপান ছেড়ে দিতে উৎসাহিত হবে, দীর্ঘমেয়াদে ৬ লক্ষ বর্তমান ধূমপায়ীর অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে এবং সরকারের অতিরিক্ত রাজস্ব আয় অর্জিত হবে ৪ হাজার ১০০ কোটি থেকে ৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। সরকার এই অতিরিক্ত রাজস্ব তামাক ব্যবহারের ক্ষতি হ্রাস এবং করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সংকট মোকাবেলায় ব্যবহার করতে পারবে।##

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728