মাছ ধরার উৎসবে ফাঁদ বেচা-কেনার ধুম ||rajshahirdorpon24
মাছ ধরার উৎসবে ফাঁদ বেচা-কেনার ধুম ||rajshahirdorpon24 |
নিউজ ডেস্ক:
বর্ষায় নদী-নালা, খাল-বিলে নতুন পানিতে টইটুম্বুর। যেন যৌবন ফিরে এসেছে। নতুন পানিতে ঘুরছে নানা প্রজাতির মাছ। এ সুযোগে গ্রামের মানুষ বিভিন্ন কৌশলে মাছ ধরার উৎসবে মেতে উঠেছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে মাছ ধরার ফাঁদ বেচা-কেনা।
বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বর্ষায় খাল-বিল বা উন্মুক্ত জলাশয়ে ফাঁদ দিয়ে মাছ শিকার করে। মাছ ধরার সহজ কৌশল চলাচলের পথে পেতে রাখা ফাঁদ। তাই নওগাঁর বিভিন্ন হাট-বাজারে এখন ফাঁদ কেনা-বেচা হচ্ছে। বাঁশ দিয়ে তৈরি খৈলশুন (বৃত্তি), ভাঁইড় (চোকা), পলইসহ মাছ ধরার বিভিন্ন ফাঁদ তৈরি এবং কেনা-বেচা হচ্ছে।
বর্ষায় মাছ ধরার ফাঁদ তৈরি করতে কারিগরদের ব্যস্ততা একটু বেড়ে যায়। এসময় বাজারগুলোতে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা মাছ ধরার ফাঁদ কিনে থাকেন। এতে দাম তুলনামূলক একটু বেশি হয়। কারিগররা বিক্রি করেন স্থানীয় হাট-বাজারে। বাঁশ কাটা, শলাকা তৈরি ও ফাঁদ বোনার কাজে সকাল-সন্ধ্যা ব্যস্ত পরিবারগুলো। এ ফাঁদ দিয়ে চিংড়ি, পুঁটি, খৈলশা, গুচি, ট্যাংরা ও পোটকা মাছ শিকার করা হয়। এতে খাবারের জন্য বাজার থেকে মাছ কিনতে হয় না।
জেলার মহাদেবপু উপজেলার চেরাগপুর গ্রামের ফাঁদ তৈরির কারিগর অসিত কুমার জানান, একটি বাঁশের দাম ২০০-২৫০ টাকা। একটি বাঁশ থেকে কমপক্ষে ৬-৭টা খৈলশুন হয়। একটি তৈরি করতে দুই জনের চার দিনের মতো সময় লাগে। বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় শ্রমিক দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে। প্রতিটি খৈলশুন বড়টি ৩০০-৪০০ টাকা, ছোটটি ১৯০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সাপাহার উপজেলার করমুডাঙ্গা গ্রামের মৎস্যজীবী আব্দুল কাহার জানান, জলাশয়ে এখন প্রচুর মাছ। প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে মহাদেবপুর হাটে গিয়ে ২১টি খৈলশুন ১৯০ টাকা করে কিনেছেন তিনি। এ খৈলশুন দিয়ে প্রায় একমাসের মতো মাছ শিকার করা যাবে। এরপর খৈলশুন নষ্ট হয়ে যাবে।##
No comments