Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    ৩৫ লাখ টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার তিনজন রিমান্ডে ||rajshahirdorpon24

    ৩৫ লাখ টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার তিনজন রিমান্ডে ||rajshahirdorpon24

    নিউজ ডেস্ক:
    বাংলাদেশি জাল নোট ও নোট তৈরির সরঞ্জামাদিসহ গ্রেফতার তিনজনকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তারা হলেন-আলম হোসেন (২৮), সাইফুল ইসলাম ওরফে লামু (৩২) ও মো. রুবেল (২৮)।


    রোববার (১৯ জুলাই) তিনজনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষ ঢাকা মহানগর হাকিম মিল্লাত হোসেন তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


    এর আগে শনিবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর বংশাল ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগ। এ সময় তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশি ১০০০ ও ৫০০ টাকা নোটের ৩৫ লাখ জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরিতে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, একটি লেমিনেটিং মেশিন, দুটি কালার প্রিন্টারসহ বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে বংশাল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

    গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মধুসূদন দাস বলেন, বংশাল থানার শহীদ নজরুল ইসলাম সরণির সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সামনে বাংলাদেশি জাল টাকাসহ কতিপয় ব্যক্তি অবস্থান করছে মর্মে গোপন সংবাদ পাই। এমন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সন্ধ্যার দিকে অভিযান পরিচালনা করে মো. আলম হোসেনকে আটক করা হয়। এ সময় আলমের কাছ থেকে তিন লাখ বাংলাদেশি জাল টাকা উদ্ধার করা হয়।


    জিজ্ঞাসাবাদে আলম স্বীকার করেন, তার অপর দুই সহযোগী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কালিগঞ্জ পূর্বপাড়ার শহীদ বেলায়েত রোডের একটি বাসায় অবস্থান করছেন এবং তারা সেখানে বাংলাদেশি জাল টাকা তৈরি করেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতারকৃত আলমকে নিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ওই বাসায় গিয়ে দলনেতা সাইফুল ইসলাম ওরফে লামু ও রুবেলকে আটক করা হয়। এ সময় বাসাটি থেকে ৩২ লাখ বাংলাদেশি জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।


    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে এসি মধুসূদন দাস বলেন, ‘কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এই চক্রটি জাল নোট তৈরি করে আসছিল। কোরবানির পশুর হাট, শপিংমল ও অন্যান্য আর্থিক লেনদেনের সময় কৌশলে বাজারে জাল নোট ছেড়ে দেয় এই চক্রের সদস্যরা। এ কাজে তারা সহযোগী হিসেবে সহায়তা নেন হাবিব মোল্লা, জীবন, মজিবুর ও রানা নামের চার ব্যক্তির কাছ থেকে। এসব সহযোগীদের বিরুদ্ধে জালনোটের ব্যবসা করার অভিযোগে মামলাও রয়েছে। পূর্বে ডিবি লালবাগ টিম তাদেরকে গ্রেফতার করে আদারতে প্রেরণ করলে তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে পুনরায় জাল টাকার ব্যবসায় জড়িয়েছেন।’##

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728