Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    বাঘায় জুন মাসের চাল জুলাই মাসে বিতরন, অভিযোগের পর খোলা বাজার থেকে কিনে সরবরাহ! ||Rajshahirdorpon24

    বাঘায় জুন মাসের চাল জুলাই মাসে বিতরন,
    অভিযোগের পর খোলা বাজার থেকে কিনে সরবরাহ ।
    ||Rajshahirdorpon24
    বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি ঃ 
    রাজশাহীর বাঘায় এক ডিলারের বিরুদ্ধে খাদ্য বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত ১০ টাকা কেজি দরের বিশেষ ওএমএস এর চাল বিতরণে অনিয়মের পাওয়া গেছে। প্রতি মাসের চাল প্রতি মাসে সরবরাহের কথা থাকলেও  নির্দিষ্ট সময়ে সরবরাহ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৫ জুলাই, ২০২০) এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন ভ‚ক্তভুগিরা।  সেখানে চাল না দিয়ে বিক্রির বিষয়টি নিয়েও আলোচনা সমালোচনা হয়।

    জানা গেছে,বাঘা পৌরসভার অর্ন্তভ‚ক্ত ডিলারদের একজন পৌর যুবলীগের সভাপতি ও  মেসার্স এসআরপি ট্রেডার্স এর সত্বাধিকারি শাহিন আলম। তার লাইসেন্স এর আওতাধীন সুবিধাভূগী কার্ডধারির সংখ্যা ৮৪০ জন।

    এদের চাল সরবরাহের জন্য গত জুন মাসে,চার কিস্তিতে চাল উত্তোলন করেন শাহিন আলম। সর্বশেষ ২৪ জুন শেষ কিস্তিতে  ৪দশমিক ৮০০ মেঃটন চাল উত্তোলন করেন তিনি। কিন্তু জুলাই মাসের ৪ তারিখেও কার্ডধারিদের অনেকেই চাল পাননি। রোববার (৫জুন)উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন তারা।  পরে ডিলার শাহিন আলমকে  চাল বিতরনের নির্দেশ দেন ইউএনও । এরপর স্থানীয় নারায়নপুর বাজারের চাল ব্যাবসায়ী লালন উদ্দিনের দোকান থেকে ৫০(পঞ্চাশ) কেজি ওজনের ৪০ (চল্লিশ) বস্তা চাল কিনে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করেন।
    ৪০ (চল্লিশ) বস্তা চাল কিনে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করেন।

     এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাল ব্যবসায়ী লালন উদ্দিন তার দোকান থেকে চাল কেনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। পৌর সভার ৪ নং ওয়ার্ডের ভ‚ক্তভ‚গি সিরাজুল ইসলাম জানান, যে চাল পেয়েছি,সেটাও নিম্নমানের। তার মতো অনেকেই এমন কথা বলেছেন।
    সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে

      সরেজমিন পৌরসভার দক্ষিনে ডিলারের প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা গেছে,তিনি যে চাল বিক্রি করছেন,সেই বস্তায় সরকারি কোন সিল পাওয়া যায়নি। ডিলার শাহিন আলম  জানান, ব্যাক্তিগত সমস্যার কারণে বিলম্ব হয়েছে। কার্ডধারিদের ৫০ জনের মতো চাল নিতে আসেনি। পরে তাদের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়েছে। খালি বস্তা আগেই বিক্রি করে দিয়েছেন। তাই এখানে সরকারি বস্তার পরিবর্তে  চিনির বস্তায় চাল ভরেছি। চাল কিনে দেওয়ার বিষয়ে ফ্রি হয়ে কথা বলার কথা বলেন তিনি।


    দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার পলাশ আহম্মেদ বলেন,২৪ জুন শেষ কিস্তির চাল উত্তোলনের বিষয়টি তিনি জানতেননা। রোববার (৫জুলাই)চাল বিতরন করবেন মর্মে আমাকে জানানোর পর সকাল ১০ টায় তার প্রতিষ্ঠানে গিয়ে বন্ধ দেখে ফিরে আসি। পরে আবার চাল বিতরণের কথা জানানোর পর সেখানে গিয়েছিলেন।

    ওজন ঠিক দেওয়া হচ্ছে কি-না,কিংবা একই কার্ডে দু’বার নিচ্ছে কি-না সেটা আমার দেখার বিষয়। তবে ওজনে কম দেওয়ার ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি। খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার জানান,প্রতিমাসের চাল প্রতি মাসে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে কার্ডধারিদের অসুবিধার কারণে পরে দিতে পারবে। কিন্ত বেশি বিলম্বে নয়। চাল কিনে দেওয়ার বিষয়টি জানেন না।


    এ বিষয়ে  উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহিন  রেজা বলেন, রোববার (৫জুলাই)সকালে  কয়েকজন আমাকে চাল না পাওয়ার বিষয়টি জানায়। আমি সঙ্গে সঙ্গে ডিলার কে চাল বিতরন করার নির্দেশ দিয়েছি।  তিনি আরও জানান, চাল কিনে দিল, না কিভাবে দিল; সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। চাল পেয়েছে কিনা সেটি আমি দেখব। তবে চাল নিয়ে কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে তদন্ত করে বিধি সম্মত ব্যাবস্থা  নেওয়া হবে।##

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728