চারঘাটে শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু ||rajshahirdorpon24
চারঘাটে শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু ||rajshahirdorpon24 |
আব্দুল মতিন, চারঘাট:
রাজশাহীর চারঘাটে শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেলে উপজেলার রাওথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তারা হলো মাহাবুর রহমানের ছেলে মাহিম (৭) ও শফিকুল হকের একমাত্র ছেলে রাহুল (৫)। মাহিমের বাবার বাড়ি পুঠিয়া উপজেলায়। তবে সে চারঘাটের রাওথা গ্রামে নানার বাড়িতে থাকে। পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর খবরে পুরো রাওথায় চলছে শোকের মাতম।
নিহত মাহিমের নানা জিয়াউর রহমান জানান, নিহত মাহিমের শাপলা তোলার এক ধরনের নেশা। প্রতিদিনই বাড়ীর লোকজনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সে বিভিন্ন পুকুর পুস্কুনিতে শাপলা তুলতো। সোমবার দুপুরের দিকে হঠাৎ করেই মাহিমকে খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে খোজ নিয়ে জানা যায় মাহিমের সঙ্গে প্রতিবেশী শফিকুলের ছেলে রাহুলও নেই।
পরে অনেক খোঁজা খুজির পরে জনৈক রেজাউল হক নামের এক ব্যাক্তি জানান তাদের দুই শিশুকে জনৈক নবীর উদ্দিনের পুস্কুনির দিকে যেতে দেখেছেন। পরে বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে এলাকাবাসীর সহাতায় শুরু হয় পানিতে খোঁজাখুজি। এক পর্যায়ে নবীর উদ্দিনের পুস্কুনি থেকে মাহিম ও রাহুলের লাশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই শিশুকেই মৃত ঘোষনা করেন।
এ দিকে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর খবরে এলাকায় চলছে শোকের মাতম। এক মাত্র ছেলে রাহুলকে হারিয়ে মা জয়নব বেগম বার বার মৃর্ছা যাচ্ছেন। তাকে বোঝানো যেন কোন ভাবেই সম্ভব হচ্ছে না আত্মীয় স্বজনদের।
অপর দিকে নিহত মাহিমের নানা জিয়াউর রহমান বলেন, নিহত মাহিমের পিতার বাড়ী পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর এলাকায়। ছোট থেকেই মাহিম আমার কাছে রয়েছে। তার পিতা মাতাকে আমি কি জবাব দেবে। এভাবেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নানা জিয়াউর।
স্থানীয় ইউপি সদস্য তজলুল হক বলেন, একই সঙ্গে একই এলাকার দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় পুরো এলাকায় চলছে শোকের মাতম। নিহতের পরিবার ছাড়াও এলাকাবাসী চরম ভাবে কাতর।#
No comments