Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    চারঘাট পৌরসভা নির্বাচনে আগাম প্রচারণায় সম্ভাব্য প্রার্থীরা ||rajshahirdorpon24

    চারঘাট পৌরসভা নির্বাচনে আগাম প্রচারণায় সম্ভাব্য প্রার্থীরা ||rajshahirdorpon24

    নিজস্ব প্রতিবেদক:
    দেশের নির্বাচিত পৌরসভাগুলোর মেয়াদ শেষের দিকে হওয়ায় ভোটের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে আগামী জানুয়ারির মধ্যে দুই শতাধিক এই স্থানীয় সরকার ভোট করবে সংস্থাটি।


    ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ফরহাদ আহাম্মদ খান সম্প্রতি মিডিয়া কর্মীদের জানান, আগামী অক্টোবরে দেশের পৌরসভাগুলোর নির্বাচনের জন্য সময় গণনা শুরু হবে। এক্ষেত্রে ২০২১ সালের জানুয়ারির মধ্যেই ভোট করতে হবে।

    ভোটের এখনো কয়েক মাস বাকি। তফসিল ঘোষণা না হলেও নির্বাচনী প্রচারণায় সরব হয়ে উঠেছে রাজশাহীর চারঘাট পৌরসভার পার্থীরা। আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের একাধিক সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী ইতোমধ্যেই নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছেন। প্রার্থীদের রঙিন পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পৌরসভার বিভিন্ন মোড় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান।

    বিশেষ করে কারোনা মহামারির মধ্যে কর্মহীন,হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ করে ভোটারদের কাছাকাছি থাকতে চেয়েছেন অনেক প্রার্থী।


    পৌরসভার হাট-বাজার ও বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে গিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় ছাড়াও কোরবানীর ঈদে মোটরসাইকেল শো-ডাউন করেও অনেকে জানান দিচ্ছেন নিজের প্রার্থিতার বিষয়টি।

    তবে এবার চারঘাট পৌরসভায় সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের তালিকায় এগিয়ে রয়েছেন তরুণ মুখ। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় একটি পৌরসভা। তবে সেটা বিএনপির দখলে। পৌরসভার বর্তমান মেয়র জাকিরুল ইসলাম বিকুল।

    চারঘাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের সম্ভব্য মেয়র প্রার্থী নতুন দুই মুখ ভোটের মাঠে কাজ শুরু করেছেন। ২০২০ সালের শুরু থেকেই তারা বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রী ছবির সাথে নিজের ছবি দিয়ে বিলবোর্ড ব্যানার করে পৌর এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূণ স্থানে ঝুলিয়ে রেখেছেন। শুধু বিল বোর্ডই নয়,করোনার মহামারির মধ্যেও তারা পৌর এলাকার ভোটার দারে গিয়ে ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ করেছেন।


    চারঘাট উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও পৌর আ’লীগের বর্তমান সাধারন সম্পাদক একরামুল হক মেয়র নির্বাচন করবেন বলে দীর্ঘ সময় ধরে ভোটের মাঠে আছেন। পৌরসভার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে তার ফেস্টুন-বিলবোর্ড লক্ষণীয়।

    একরামুল হক বিশেষ করে করোনা মহামারির মধ্যে পৌর এলাকায় কর্মহীন,গরিব,দুখি এমন মানুষদের চাল,ডাল,আলু,তৈল,সাবার বিতারণ করে বেশ আলোচনার এসেছেন। এতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরসহ সকল শ্রেনীর মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।

    চারঘাট পৌর নির্বাচনের আরেক তরুণ মুখ সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কাজী মাহমুদুল হাসান মামুন। তিনিও দলীয় মনোনয়ন নিয়ে পৌরসভায় মেয়র নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা দিয়ে ভোটের মাঠ আছেন। তিনি বিল বোর্ড ,ব্যানার সাটিয়েছেন। করোনাকালিন সময়ে পৌর এলাকায় হতদরিদ্রদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রিও বিতরণ করেছেন।

    চারঘাট পৌর নির্বাচনের প্রচার প্রচারণায় এখনো আড়ালে রয়েছেন সাবেক মেয়র ও গতবারের পৌর নির্বাচনের আ’লীগ মনোনীত পার্থী নার্গিস খাতুন। তবে প্রচার প্রচারণায় না থাকলেও পৌরসভার তৃণমূল পর্যায়ে নার্গিস খাতুনের যোগাযোগ রয়েছে।

    এদিকে বিএনপির কয়েকজন পার্থীও আগামী পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে সরব রয়েছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ও অনুগত কর্মীদের কাছে ইতিমধ্যেই বর্তমান মেয়র জাকিরুল ইসলাম বিকুল পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহন করার কথা জানিয়েছেন।


    তবে জাকিরুল ইসলাম বিকুলকে নিয়ে চারঘাট পৌর এলাকার বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে কিছু বির্তক রয়েছে। কারণ বিএনপি দলীয় প্রতীক নিয়ে পাশ করলেও বর্তমান মেয়র আ’লীগের মেয়র হিসাবে পরিচিত। তিনি চারঘাট পৌরসভার তৃণমূল বিএনপি থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। জাকিরুল ইসলাম বিকুল চারঘাট পৌর নির্বাচন করুক বিএনপির অনেক নেতাকর্মীই সেটা চাইছেন না।

    চারঘাট থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য নাজমুল হক দীর্ঘদিন যাবৎ প্রচার প্রচারণায় রয়েছেন। করোনার সময় ত্রাণ বিতরণ করেছেন এবং নেতাকর্মিদের ও ভোটারদের কাছে নানা ভাবে থাকার চেষ্টা করছেন। ঈদে বিতরণ করেছেন সেমাই, চিনি, পোলাও চাল সহ নানা সামগ্রি। চলতি বছর তিনি মেয়র নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন এবং মাঠে কাজ করছেন। পৌরসভার তৃণমূল বিএনপিতে নাজমুল হকের জনপ্রিয়তা তৈরি হয়েছে।

    এছাড়াও আ’লীগ বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের একাধিক নতুন মুখ সম্ভব্য মেয়র প্রার্থীরা নানা ভাবে ভোটারদের কাছে পরিচিতি হওয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

    কোরবানীর ঈদের আগে ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ফরহাদ আহাম্মদ খান জানিয়েছেন, দেশে পৌরসভা রয়েছে ৩২৮টি। এরমধ্যে নির্বাচনের উপযোগী রয়েছে ২৫৬টি। তবে এই সংখ্যা কমতে বা বাড়তে পারে। কেননা, মামলাসহ আইনি জটিলতার কারণে সংখ্যায় কিছুটা এদিক-সেদিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

    সর্বশেষ দেশের পৌরসভাগুলো একযোগে ভোটগ্রহণ হয়েছিল ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর। আর নির্বাচিত মেয়ররা শপথ নিয়ে প্রথম সভা করেছিলেন ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে।

    আইন অনুযায়ী, নির্বাচিত পৌরসভার মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। আর ভোট করতে হয় সময় শেষ হওয়ার আগে ৯০ দিনের মধ্যে। এক্ষেত্রে অক্টোবর থেকেই সময় গণনা শুরু, এমনটি ধরে নিয়েই কাজ এগিয়ে নিচ্ছে ইসি।

    করোনা পরিস্থিতি যদি বর্তমানের মতো থাকে, তবে জানুয়ারির মধ্যেই ভোট হবে। আর যদি এর চেয়ে অবনতি হয়, তবে ভোট পেছাবে। এছাড়া একযোগে হবে, না কি কয়েক দফায় হবে, সে সিদ্ধান্ত এখানো হয়নি। তবে গতবার একযোগেই হয়েছিল।

    ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচন করা যাবে এমন পৌরসভাগুলোর নাম ও লিস্ট তৈরির কাজ চলছে। সময় ঘনিয়ে এলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া কোনো পৌরসভায় নির্বাচনের ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা আছে কি না, সে বিষয়েও মতামত চাওয়া হবে। তবে সেটা আগামী অক্টোবরের দিকে।##

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728