বন্ধুকে হত্যা করে মরদেহ উদ্ধারে পুলিশের সঙ্গেই ছিলো হাসান ||rajshahirdorpon24
![]() |
বন্ধুকে হত্যা করে মরদেহ উদ্ধারে পুলিশের সঙ্গেই ছিলো হাসান ||rajshahirdorpon24 |
নিউজ ডেস্ক:
বন্ধু রাসেলকে ছুরিকাঘাতে হত্যার তিনদিন পর মরদেহ উদ্ধারে পুলিশের সঙ্গেই ছিলো ১৬ বছরের হাসান। পুলিশকে সহযোগিতাও করেছে সে। এ সময় পুলিশের পাশে থাকলেও কাউকে বুঝতে দেয়নি সে নিজেই তার বন্ধুকে খুন করেছে।
বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) রাতে চট্টগ্রামের জালালাবাদ নিজ বাসা থেকে হাসানুল হাসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে স্থানীয় জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
খুলশী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী জানান, নিহত রাসেল ও হাসান বন্ধু ছিলো। একসঙ্গে চলাফেরা এবং ঘোরাঘুরি করতো।
আরো পড়ুন:চারঘাটে কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা
তিনি আরো জানান, হাসান জবানবন্দিতে জানিয়েছে, সে একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। রাসেল বয়সে হাসানের ছোটো হলেও তারা একসঙ্গে চলাফেরা করত। এরইপূর্বে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাসেলের সঙ্গে তার মারামারি হয়েছিল। সব বন্ধুদের মধ্যে রাসেল কর্তৃত্ব করতে চাইত। মেয়ে দেখলে অশালীন আচরণ করতো যা তার ভালো লাগতো না। কিছুদিন আগে রাসেল হাসানের মাকে গালিগালাজ করে। এতে হাসানের প্রচণ্ড অপমানবোধ হয়। তাই হাসান ওইদিনই রাসেলকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
ওসি প্রণব আরো জানান, নিহত রাসেলকে সঙ্গে নিয়েই নিউমার্কেট এলাকা থেকে ছুরি কিনে আনে হাসান। পরে পাহাড়ে লোকানো ৪ হাজার টাকার লোভ দেখিয়ে ঈদের আগের দিন সন্ধ্যায় জালালাবাদ হাসেম কর্পোরেশনের পাহাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে ছুরিকাঘাতে রাসেলকে হত্যা করে হাসান।
ওসি প্রণব চৌধুরী জানান, রাসেলকে হত্যা করার বিষয়টি ঘটনার আগে ও পরে বন্ধু রাহাতকে জানিয়েছিল হাসান।
গত ৩ আগস্ট নগরীর জালালাবাদ পাহাড়ের খাদ থেকে রাসেলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে ৩১ জুলায় সন্ধ্যায় ওই পাহাড়ে নিয়ে রাসেলকে হত্যা করে বন্ধু হাসান।##
সূত্র:somoynews
No comments