Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    কুকুরের উপদ্রব ঠেকাতে স্থানান্তর-বন্ধ্যাকরণের উদ্যোগ দুই সিটির ||rajshahirdorpon24

    কুকুরের উপদ্রব ঠেকাতে স্থানান্তর-বন্ধ্যাকরণের উদ্যোগ দুই সিটির ||rajshahirdorpon24

    নিউজ ডেস্ক:
    কুকুরের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী। এ যন্ত্রণা থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বিভিন্ন সময় নানা উদ্যোগ গ্রহণ করলেও তেমন সুফল মেলেনি। তাই এবার উপদ্রব ঠেকাতে স্থানান্তর-বন্ধ্যাকরণের উদ্যোগ নিয়েছে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন।


    জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কুকুরের উপদ্রব নিয়ে প্রতিদিন অভিযোগ আসে সিটি করপোরেশনে। কেউ ফোনে, কেউবা লিখিতভাবে অভিযোগ জানাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। ভুক্তভোগীরা বলছেন, কুকুরের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ সবাই। বাহিরে চারপাশে ঠাঁই নিয়েছে অসংখ্য বেওয়ারিশ কুকুর। এরা সবসময় ঘেউ ঘেউ করে। রাস্তায় বের হলে এমন আচরণ করে যেন কামড়ে দেবে।

    এক পসিংখ্যানে জানা গেছে, রাজধানীতে ৫০ হাজারেরও বেশি কুকুর রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতেই (ডিএসসিসি) রয়েছে ৩০ হাজারের বেশি কুকুর। এ অবস্থায় কুকুরের যন্ত্রণা থেকে নগরবাসীকে রেহাই দিতে ডিএসসিসি বেওয়ারিশ কুকুর শহরের বাইরে স্থানান্তরের চিন্তা করছে। অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নতুন করে বন্ধ্যাকরণ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করবে বলে জানা গেছে।


    এ বিষয়ে ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের জাগো নিউজকে বলেন, কুকুরের উপদ্রবের বিষয়ে বিভিন্ন সময় সিটি করপোরেশনে অভিযোগ আসছে। এ অবস্থায় ডিএসসিসি এলাকার কুকুরর স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। যদিও কেবল এটা চিন্তা করা হয়েছে। এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যদি স্থানান্তর করা হয় তাহলে আগে দেখতে হবে একসঙ্গে এত কুকুর স্থানান্তর করা হলে যেন খারার সংঙ্কট না হয়, সেটিও বিবেচনা করা হচ্ছে।

    ডিএসসিসির প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের এলাকায় থাকা কুকুরগুলো মাতুয়াইলে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে এক এলাকায় বিপুলসংখ্যক কুকুর রাখলে খাদ্য সংকেট দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কায় এ পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে কর্তৃপক্ষ।

    অন্যদিকে কুকুর স্থানান্তরের কোনো চিন্তা বা উদ্যোগ নিচ্ছে না ডিএনসিসি। তারা কুকুর বন্ধ্যাকরণ ভ্যাকসিন এবং জলাতঙ্ক টিকা দেয়ার কথা ভাবাছে।


    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে এক বেসরকারি সংস্থার রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে কুকুর নিধন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। এর পর দুই সিটি করপোরেশন কুকুরকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনার কাজ শুরু করে। পরে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন আলাদা করে ভ্যাকসিন দেয়ার উদ্যোগ নেয়। এরপর থেকে রাজধানীর কুকুরগুলোকে বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি পরিচালিত হয়ে আসছিল। তবে গত কয়েক বছর ধরে এ কর্মসূচিতে তেমন সফলতা পাওয়া যায়নি।#

    সূত্র: jagonews

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728