Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    চারঘাট-বাঘা সীমান্তে অবৈধ পথে প্রবেশ করছে গরু-মহিষ ||rajshahirdorpon24

    চারঘাট-বাঘা সীমান্তে অবৈধ পথে প্রবেশ করছে গরু-মহিষ ||rajshahirdorpon24

    আব্দুল মতিন, চারঘাট:
    প্রানঘাতি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিছিলে বিশ্বের ৩য় অবস্থানে থাকা ভারত থেকে গত কয়েকদিন ধরে রাজশাহীর চারঘাট ও বাঘা সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করছে গরু ও মহিষ। সঙ্গে আসছে ভারতীয় চোরাকারবারীদল। এতে করে সীমান্তে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুকি।


    সরকার হারাচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে স্থানীয় খামারীরা। তবে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী বিজিবির দাবি রাতের আধারে গরু মহিষ আসছে সেটি তাদের অজানা। তবে গত কয়েকদিন আগে ভারত থেকে রাতের আধারে আসা ২টি মহিষ আটকের সত্যতা স্বীকার করেছে বিজিবি।

    সীমান্তবর্তী চারঘাট ও বাঘা উপজেলার রাওথা, মীরগঞ্জ ও আলাইপুর এলাকায় সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, রাওথা, মীরগঞ্জ ও আলাইপুর এলাকার চিহিৃত কয়েকটি চোরাকারবারী দলের গডফাদাররা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাতের আধারে ভারত থেকে আসছে গরু ও মহিষ।


    রাতের আধারে গরু ও মহিষ এনে সেগুলো ভোর রাতের মধ্যেই পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে উত্তরবঙ্গে বড় গরু মহিশের হাট রাজশাহী সিটি হাটে। আর সেখান থেকে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন হাটে বাজারে। এতে করে যেমন করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকছে, তেমনি সরকার হারাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে স্থানীয় খামারীরা।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সীমান্তে বসবাসকারী একাধিক ব্যক্তি জানান, রাওথা, মীরগঞ্জ ও আলাইপুর এলাকার চিহিৃত চোরাকারবারী কয়েকটি সিন্ডিকেট স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাতের আধারে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এসব এলাকায় প্রবেশ করেছে কয়েকশ গরু ও মহিষ। শুধু গত শনিবার দিনগত রাতে মীরগঞ্জ-রাওথা এলাকায় প্রবেশ করেছে ৩০ জোড়া গরু ও মহিষ বলে জানান এলাকাবাসী।

    এ দিকে গত ৪ দিন আগে ভারত থেকে অবৈধ পথে গরু মহিষ আসার সময় আলাইপুর বিজিবির কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার আবু তালেব আটক করেন এক জোড়া মহিষ। আর বাকী গরু মহিষ নিয়ে পালিয়ে যায় চোরাকারবারীদল।

    অন্য দিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারত থেকে অবৈধ ভাবে গরু ও মহিষ নিয়ে আসার কাজে নিয়জিত একজন রাখাল বলেন, আমরা সাতরিয়ে ভারত থেকে এক জোড়া গরু ও মহিষ আনলে আমাদের দেয়া হয় ২০ হাজার টাকা। আর চোরাকারবারীরা ভারতীয় চোরাকারবারীদের কাছ থেকে নেয় প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। ২০ হাজার টাকা রাখালকে দেয়ার পরে অবশিষ্ট টাকা তারা রাখে।


    এছাড়া ভারতীয় এসব গরু ও মহিষ বিক্রির মোটা অংকের টাকা লাগানো হয় স্থানীয় হুন্ডি ব্যবসায়ীর কাছে। হুন্ডি ব্যবসায়ীরা আবার অবৈধ ভাবে ভারতে পাঠান এসব টাকা।

    চারঘাট থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাদশা বলেন, এভাবে অবৈধ পথে ভারত থেকে গরু মহিষ আসা বন্ধ না হলে বাড়বে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। এতে স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়তে পারে স্থানীয় গ্রামবাসী। অপর দিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। এ বিষয়ে এখনই সচেতন হওয়া দরকার।

    বিষয়টি সম্পর্কে বিজিবির আলাইপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার আবু তালেব ২ টি মহিষ আটকের সত্যতা স্বীকার করলেও গরু মহিষ প্রবেশ করার কথা অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি রাওথা ও মীরগঞ্জ এলাকা দিয়ে গরু মহিষ আসার সংবাদে তিনি সেখানেও অভিযান চালাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন।##

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728