Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    বাঘায় আইন অমান্য করে মাংস বিক্রির অপরাধে কসাইয়ের অর্থ দন্ড ||rajshahirdorpon24

     


    বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি

    রাজশাহীর বাঘায় রোগাক্রান্ত পশু জবাই করে মাংস বিক্রি কিংবা খাওয়ার অনুপোযোগী মাংস ফ্রিজে রেখে বিক্রির একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রাণী সম্পদ দপ্তরের প্রতিনিধি ও জনসন্মুখে পশু জবাইয়ের জন্য মাংস ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে লোকচক্ষুর অন্তরালে পশু জবাই অব্যাহত রেখেছেন মাংস ব্যবসায়ীরা ।


      এছাড়াও গাই গরু জবাই করে এঁড়ে গরুর মাংস বলেও বিক্রি করেন।  এমন অভিযোগ পাওয়ার পর বাঘা বাজারের মাংস হাটায় অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহি অফিসার শাহিন রেজা। 


    সোমবার (০৯-১১-২০) সকালে সেখানে গিয়ে প্রমান মেলে, নির্দেশ অমান্য করে প্রাণী সম্পদ বিভাগের প্রতিনিধি উপস্থিত হওয়ার আগেই একটি গাই গরু জবাই করে এঁড়ে গরুর মাংস বলে বিক্রি করছিলেন জাকির হোসেন ওরফে শিরোইল নামের একজন কসাই। জবাই করা পশুটিও রোগাকান্ত ছিল বলে অভিযোগ করেণ অনেকেই। এ অভিযোগে পশু জবাই ও মাংসের মাননিয়ন্ত্র ২০১১ আইনে ওই কসাইয়ের ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ডের রায় দেন এবং মাংসগুলো পদ্মার নদীর পাড়ে মাটিতে পুতে রাখার নির্দেশ দেন। অর্থদন্ডের টাকা তাৎক্ষনিক প্রদান করেন মাংস ব্যবসায়ী । অভিয়ানে পুলিশ ও প্রাণী সম্পদ বিভাগের সার্জন উপস্থিত ছিলেন। জাকির হোসেন উপজেলার দক্ষিণ মিলিকবাঘা গ্রামের জমসেদ আলীর ছেলে। মাংস ব্যবসায়ি  জাকির হোসেন বলেন, পঁচা বা নষ্ট মাংস  না। আইন অমান্য করে পশু জবাই করেছি মাত্র।

    এ বিষয়ে কয়েকজন ভুক্তভুগী অভিযোগ করে বলেন, অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে কতিপয় মাংস ব্যবসায়ী প্রায়ঃশই খাওয়ার অনুপোযোগী অসুস্থ পশু জবাই করে মাংস বিক্রি করেন। এসব মাংস বিক্রির জন্য অনেকেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কিংবা বাসা বাড়ির ফ্রিজে রাখা হয়। সেগুলো হাটে আবার বিক্রি করা হয়। কিন্তু স্থানীয় সরকারের ইউনিটগুলোর নিরব ভূমিকার কারণে ক্রমশই বেপরোয়া হয়ে উঠছে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। 


    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা বলেন, খবর পেয়ে দ্রæত অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর দোকান পরিদর্শনে যায। সেখানে রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রির সত্যতা পেয়ে কসায়ের অর্থদন্ড করা হয়েছে। মাংগুলো মাটিতে পুতে রাখা হয়েছে।  


    এছাড়াও সকল ব্যবসায়ীদের কঠোরভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, ফ্রিজে রেখেও মাংস যাতে বিক্রয় করতে না পারে। সেটা তদারকির জন্য ইজারাদারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

    উল্লেখ্য, খাওয়ার অনুপযোগী   মানহীন মাংস বিক্রির অভিযোগে  ইতিপূর্বে মিলনসহ কয়েকজন মাংস ব্যবসায়ীর  ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে। ##


    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728