বাঘায় যানবাহনের টায়ারসহ এক চোর আটক ||rajshahirdorpon24
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
বিভিন্ন যানবাহনে ব্যবহৃত টায়ারসহ বাঘায় এক চোরকে আটকের পর পুলিশে দিয়েছে জনতা। তার নাম নাহিদ ইসলাম সোহাগ। সে লালপুর উপজেলার শাহজামালের ছেলে।
জানা গেছে, রোববার (২৯-১১-২০) বিকেলে চুরি করা ওই টায়ারগুলো মেসার্স বাঘা পেট্রোলিয়াম এজেন্সিরর পশ্চিম পার্র্শে আরিফুল ইসলাম জনির ভরকানাইজিং নামীয় দোকানে ছোট-বড় মিলে ৫টি টাযার বিক্রি করতে আসে। এসময় তার সন্দেহ হলে ওই চোরকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। সেখান থেকে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আরিফুল ইসলাম জনির ভাই রনি জানান,টায়ারগুলো তার দোকানে বিক্রি করতে আসার পর তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
এর আগে,চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ১ তারিখ রাতে আরিফুল ইসলাম জনির ভরকানাইজিং নামীয় দোকান থেকে ট্রাক,বাস, সিএনজি ও উল্কা গাড়ীর ৮৫ টি টায়ার চুরি হয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্যে ৭লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এ ঘটনায় আরিফুল ইসলাম জনি বাদি হয়ে সন্দেহভাজন, বাঘা পৌর এলাকার উত্তর মিলিক বাঘার উজির উদ্দীনের ছেলে ফারুক হোসেন, ছাতারী গ্রামের সিদ্দিক হোসেনের ছেলে জুয়েল হোসেন ও জিল্লুর রহমানের ছেলে সম্রাট আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায়.অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামী করা হয়েছে। ওই মাসের ১৪ তারিখ মামলাটি রেকর্ড করা হয়। (যার নং-০৬)।
এদিকে, চুরি যাওয়া দোকানেই চুরি করা ওই টায়ারগুলো বিক্রি করতে আসা চোরকে আটকের পর,চুরির রহস্য নিয়ে দানা বাঁধে জনমনে। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিরা জানান, যাদের সন্দেহজনকভাবে আসামী করে মামলা করা হয়েছে,তারা আদৌও কোন চুরির সাথে এর আগে জড়িত ছিলনা। মামলার আসামী কলেজ ছাত্র ফারুক হোসেন জানান, মামলায় জড়িয়ে বিভিন্নভাবে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে এলাকার লোকজন দাবি করেছে,সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক।
মামলার তদন্তকারি অফিসার এসআই আব্দুল খালেক জানান, চলমান মামলায় নাহিদ ইসলাম সোহাগকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তবে দোষী নয়, এমন কেই হয়রানির শিকার হবেননা। প্রকৃত দোষীদেরই আইনের আওতায় আনা হবে।##
No comments