সাভারের ভাকুর্তা মোগরাকান্দার টুন্ডা জহির এখন রড দিয়ে পিটিয়ে মানুষ মারার কন্ট্রাক্টার ||rajshahirdorpon24
মোঃ শান্ত খান সাভার প্রতিনিধি :
সাভার উপজেলার ভাকুর্তা ইউনিয়নেরমো গড়াকান্দা গ্রামের টুন্ডা জহির এখন রড দিয়ে পিটিয়ে মানুষ মারার কন্ট্রাক্টার। মোগরাকান্দা গ্রামের পাচুঁলি মৌজায় মধু মিয়া ও তার ছেলে নোমান মোগরাকান্দাবাসী আবদুল খালেক সালমানকে ও তার বড় ভাইকে বাউন্ডারীর কাজ দেয়। টুন্ডা জহির জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে সালমানদের কাছ থেকে পার্টনারশিপ নেয়। দুই লক্ষ টাকা বাউন্ডারি কাজের লাভের টাকা সে মেরে দেয়।
আজ শুক্রবার সকাল ১০.৩০ মিনিটে মধু মিয়া ও তার ছেলে নোমান লাভের টাকা নিয়ে আসে, টাকা চাইতে গেলে টুন্ডা জহির সালমান কে রড দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। পাচুঁলি মৌজা,বিলামালিয়া মৌজায় কন্ট্রাক্টে বাউন্ডারির কাজ করা তার পেশা। অন্যর জমি জোরপূর্বক দখল করে বাউন্ডারি কাজ করার কারনে সে একাধিক বার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেল খেটেছে। ১৯৮০ সাল হইতে সে ভাকুর্তা মোগরাকান্দা গ্রামের নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার করতো,এর জন্য গেরিলা বাহিনী তার এক হাত কেটে দেয়। এর পর হইতে তার নাম হয় টুন্ডা জহির। টুন্ডা জহির ছিল এক সময় ডাকাত দলের সরদার। ১৯৮০ সাল হইতে আজ প্রর্যন্ত তার সন্ত্রাসী কাজ বন্ধ হয়নি। টুন্ডা জহিরের নামে অসংখ্য মামলা হয়েছে। বর্তমানেও তার নামে থানায় একাধিক অভিযোগ ও মামলা রয়েছে। টুন্ডা জহিরের পাচুঁলি মৌজায় বিশাল গোপন আস্তানা আছে।গোপন আস্তানায় ২৪ ঘণ্টা টুন্ডা জহির বাংলা মদ,গাজা, ইয়াবা সহ বিভিন্ন রকম নেশা জাতীয় দ্রব্য খায়। গোপন আস্তানায় ২৪ ঘণ্টা চলে জোয়ার আড্ডা। জুয়া খেলার জন্য টুন্ডা জহির ঘর ভাড়া দেয়।সে নিজেও জুয়া খেলে। পাচুঁলি মৌজায় প্রকাশ্য মদ,গাজা, ইয়াবা বিক্রি চলে।
পাচুঁলি মৌজায় টুন্ডা জহির একক ভাবে বাউন্ডারির কাজ করে। কোন মানুষ বাউন্ডারি কাজ করাতে গেলে তাকে জিম্মি করে, মানুষের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা চাঁদাবাজি করে। টুন্ডা জহির মানে ভয়ঙ্কর এক নাম।
No comments