কম দামে নিলামে বিক্রি হল আলু, সোয়া লাখ টাকায় আলু কিনতে লক্ষ টাকা খরচ ||rajshahirdorpon24
বাঘা(রাজশাহী) প্রতিনিধি ঃ:
বাঘায় খোলা ডাকে আলু নিলামে উঠলেও বিক্রি হল অনেক কম দামে। ডাকে ৩২জন অংশগ্রহন করলেও দাম না ওঠায় শেষ পর্যন্ত ৫০ কেজি ওজনের ২৫০বস্তা আলু বিক্রি করা হয়েছে ১লক্ষ ২৫ হাজার টাকায়। সে হিসেবে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকায়। মোট ১২ হাজার ৫০০ কেজি আলু (২৫০ বস্তা) বিক্রির জন্য সোমবার (২১-১২-২০) নিলাম ডাকা হয়েছিল। থানা চত্বরে ৩২জন ব্যবসায়ী ৫ হাজার টাকা জমানত জমা নিয়ে নিলামে অংশ নিয়েছিলেন।
কিন্ত সিন্ডিকেট করে তাঁরা কেউ বেশি দামে আলু কিনতে রাজি হননি। হিমঘরের বাইরে বেশ কিছুদিন থাকার ফলে ওই আলুর একটা অংশের গুণগত মান খারাপ হয়ে গিয়েছে, এই কারণে বেশি দাম দিতে রাজি হননি ব্যবসায়ীরা। খুচরো বাজারে নতুন আলু এখন ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর কেজি দরে পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ।
প্রসঙ্গত, গত ৪ ডিসেম্বর বাঘা-ইশ^রদী সড়কের বাঘা পৌরসভার বানিয়া পাড়া নামক স্থানে আলুবাহি একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্টো ট-২৪৩৩৪৫ নম্বর) আটকের পর, তল্লাশি করে পৃথক একটি চটের বস্তায় ২৯২ বোতল ভারতীয় নিষিদ্ধ ফেন্সিডিলগুলো উদ্ধার করে রাজশাহী র্যাব-৫। ট্রাকটি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ‘দেশ কোলিস্টর’ থেকে আলুর বস্তা লোড করে পটুয়াখালির আমতলী যাওয়ার পথে অতিরিক্ত ভাড়ার চুক্তিতে বাঘা উপজেলার মীরগঞ্জ থেকে বস্তায় ভর্তি ওই ফেনসিডিলগুলো আলুভর্তি ট্রাকে নিয়ে যাচ্ছিছল। পরে র্যাবের পক্ষ থেকে পটুয়াখালী সদর এলাকার মেরাজ খানের ছেলে ট্রাক চালক হুমায়ন কবির (৪৫) এবং শরিয়তপুর সদর এলাকার আক্কাছ আলীর ছেলে হেলফার লিটন (৪৭)কে আসামী করে বাঘা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এর পর থেকে ২৫০ বস্তা আলু ট্রাকে সংরক্ষণ করা ছিল।
কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান জানান, আদালত থেকে সেই আলু নিলামে বিক্রির জন্য উপজেলা নির্বাহি অফিসার,কৃষি অফিসার ও খাদ্য নিযন্ত্রক অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আলু বিক্রি না করে ফেলে রাখলে গুণগত মান আরও খারাপ হয়ে যেত। তাই দাম না ওঠায় শেষ পর্যন্ত কম দামে ডাকে অংশ গ্রহনকারিদের একজন লালচান নামের ব্যবসায়ীর কাছে ৫০ কেজি ওজনের ২৫০বস্তা আলু বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
লালচানের পার্টনার জামাল নামের একজন জানান,সোয়া লাখ টাকার আলু কিনতে খরচ হয়েছে ১লক্ষ ১৯ হাজার টাকা। তবে আলুতে তাদের লাভ হবেনা বলে জানান তিনি।##
No comments